লাজুক স্বভাব, নাকি বিষণ্নতার বহিঃপ্রকাশ?

টোয়ালাইটক্যামেরার সামনে অভিনেত্রীদের সঙ্গে যতই ঘনিষ্ঠ হন না কেন, বাস্তবে ‘টোয়াইলাইট’ তারকা রবার্ট প্যাটিনসন যে পুরোপুরি লাজুক ছেলে তা একটু একটু করে বোঝা যাচ্ছিল। তার হাসিতে দেখা গেল শিশুসুলভ একটা ব্যাপার।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পালে দো ফেস্টিভাল ভবনের সংবাদ সম্মেলন কক্ষের পুরোটা সময়ই চুপচাপ বসেছিলেন প্যাটিনসন। চোখ সারাক্ষণই ছিল টেবিলে। সাংবাদিকদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বেলায় ছিলেন জড়োসড়। মাঝে মধ্যে আড়মোড়া ভেঙেছেন কিছুক্ষণের জন্য।

অথচ যে ছবির জন্য প্যাটিনসনের আসা, সেই ‘গুড টাইম’-এ তিনি রীতিমতো ব্যাংক ডাকাত! থ্রিলারধর্মী ছবিটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান দুই ভাই জশ স্যাফডি ও বেনি স্যাফডি। এর প্রধান দুই চরিত্রও সম্পর্কে ভাই। ব্যাংক লুটপাট করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর দুই ভাই নিক ও কনির রুদ্ধশ্বাস যাত্রা উঠে এসেছে কাহিনিতে।
নিউইয়র্কের অন্ধকার জগতকে তুলে ধরতে চেয়েছেন স্যাফডি ভ্রাতৃদ্বয়। এর আগে নিজেদের শহরকে ঘিরে ‘ম্যাড লাভ ইন নিউইয়র্ক’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়ান তারা।

‘গুড টাইম’ ছবিতে ১৯৭৬ সালের পাম দ’র জয়ী মার্টিন স্করসিসের ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’-এর প্রভাব রয়েছে। এর মূল চরিত্র মানসিক অস্থিরতার ব্যাধিতে আক্রান্ত। এ ভূমিকায় রবার্ট প্যাটিনসনের অভিনয় মনে করিয়ে দেয় ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছবির ট্র্যাভিস বিকেল চরিত্রকে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। একই স্থানে দুপুর ১২টায় ছিল এর একটি প্রদর্শনী। এখানেই রাত রাত সাড়ে ১২টায় আবার দেখানো হবে এটি। এছাড়া সাল দুবুসিতে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি।

সংবাদ সম্মেলনে প্যাটিনসন ছাড়াও পরিচালকদ্বয়ের সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা বাডি ডিউরেস, অভিনেত্রী তালিয়া ওয়েবস্টার, চিত্রনাট্যকার রোনাল্ড ব্রনস্টেইন, প্রযোজকদ্বয় অস্কার বয়সন ও সেবাস্তিয়ান বিয়ার।

টোয়াইলাননননঅন্যরা সাবলীল থাকলেও চুপচাপ স্বভাবের প্যাটিনসনের দিকেই ছিল সবার নজর। ৩১ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই তারকার প্রাক্তন প্রেমিকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিও দেখানো হয়েছে কানের ৭০তম আসরে। কে জানে তার জন্য এখনও রবার্টের মন ব্যাকুল কিনা! তিনি সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকে চেয়ারে বসতেই ‘রবার্ট’ বলে ডাকলাম। তিনি তাকালেন। তার মুখ টিপে হাসির আড়ালে যেন বিরহের সুর!

সবশেষে বাংলা ট্রিবিউনের নোটপ্যাডে অটোগ্রাফ দেওয়ার সময়ও রবার্ট প্যাটিনসন চুপচাপ। এটা কি তার লাজুক স্বভাব, নাকি বিষণ্নতার বহিঃপ্রকাশ জানা হলো না! সাংবাদিকদের কানাঘুষায় শুনলাম, ক্রিস্টেনের বিহনে তিনি হয়ে গেছেন এমন স্থির! এজন্যই প্রেমের আরেক নাম বেদনা!

/জেএইচ/এমএম/