বেলজিয়ান তরুণী, ফ্রান্স ও ইরানি তরুণদের জয়



বিজয়ী (বাঁ থেকে) ভ্যালেন্টিনা মরেল, বাহমান ও বাহরাম আর্ক ও টমাসো উসবের্তিকান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭০তম আসরে শিক্ষার্থী নির্মাতাদের বিভাগ সিনেফন্ডেশনে প্রথম পুরস্কার জিতলো বেলজিয়ান তরুণী ভ্যালেন্টিনা মরেল পরিচালিত ‘পল ইজ হিয়ার’। ফলে তার প্রথম ছবি আগামীতে কান উৎসবে স্থান করে নেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ইউরো।

দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ইরানের ইরানিয়ান ন্যাশনাল স্কুল অব সিনেমা স্কুলের দুই শিক্ষার্থী বাহমান ও বাহরাম আর্ক পরিচালিত ‘অ্যানিমেল’। ১৫ মিনিট ব্যাপ্তির ছবিটির গল্প সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে একজন মানুষের ভেড়া শিকারকে কেন্দ্র করে। পশুর ছদ্মবেশে দেশ ছেড়ে পালাতে চায় সে। পুরস্কার হিসেবে তাদের হাতে গেছে ১১ হাজার ২৫০ ইউরো।

কান উৎসবের ৭০তম আসরে শুক্রবার (২৬ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা) সিনেফন্ডেশন বিভাগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে পালে দো ফেস্টিভাল ভবনের সাল বুনুয়েলে। এখানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

ভ্যালেন্টিনা হলেন বেলজিয়ামের ইনসাস স্কুলের শিক্ষার্থী। তার ‘পল ইজ হিয়ার’ ছবির ব্যাপ্তি ২৪ মিনিট। এতে তুলে ধরা হয়েছে পিছু হটার গল্প। ব্যাপারটা দরজায় আগন্তুকের কড়া নাড়ার মতো অনেকটা। পলের বিরক্তিকর উপস্থিতি জানের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে।

সিনেফন্ডেশন বিভাগের বিচারকদের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান মুঙ্গিউকোস্টারিকায় জন্ম নেওয়া ভ্যালেন্টিনা মরেল ফিল্মমেকিংয়ের জন্য ফ্রান্সে এসেছেন। প্যারিসে একটি ইউনিভার্সিটিতে অল্প সময় পড়ার পর পরিচালনার ওপর মাস্টার ডিগ্রি নিতে তিনি চলে যান ব্রাসেলসে।

এবারের সিনেফন্ডেশনে তৃতীয় হয়েছে ফ্রান্সের লা ফেমিসের শিক্ষার্থী টমাসো উসবের্তির ২৬ মিনিট ব্যাপ্তির ছবি ‘টু ইয়ুথস ডাইড’। তিনি পেয়েছেন সাড়ে সাত হাজার ইউরো।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কান উৎসবের অন্যতম পরিচালক জিলস ইয়াকব। তিনিই ১৯৯৮ সালে কান উৎসবে চালু করেন সিনেফন্ডেশন বিভাগ।

পুরস্কার বিতরণীর সময় মঞ্চে আরও ছিলেন এ বিভাগের বিচারকদের সভাপতি রোমানিয়ান নির্মাতা ক্রিশ্চিয়ান মুঙ্গিউ এবং তার নেতৃত্বে সিনেফন্ডেশন বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করা ফরাসি অভিনেত্রী ক্লটিল্ড এম, গ্রিক নারী নির্মাতা আতিনা র‌্যাচেল সাঙ্গারি, অস্কারজয়ী ছবি ‘মুনলাইট’-এর নির্মাতা ব্যারি জেনকিন্স ও সিঙ্গাপুরের পরিচালক এরিক কু। পুরস্কার প্রদান শেষে দেখানো হয় পুরস্কারজয়ী ছবিগুলো।

এবার ছিল সিনেফন্ডেশন বিভাগের ২০তম আসর। এতে জমা পড়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৬২৬টি ফিল্ম স্কুলের ২ হাজার ৬০০টি ছবি। এর মধ্যে নির্বাচিত হয় ১৬টি চলচ্চিত্র। এগুলোর মধ্যে বিচারকরা পুরস্কৃত করলেন তিন দেশের তিনটি ছবিকে।

আয়োজকরা জানান, আগামী ৩০ মে সন্ধ্যা ৭টায় প্যারিসের সিনেমা দ্যু পানতিওনে আবার দেখানো হবে পুরস্কৃত তিনটি ছবি। এছাড়া প্যারিসের সিনেমাতেক ফ্রঁসেজে সিনেফন্ডেশন বিভাগে এবার নির্বাচিত সব ছবির প্রদর্শনী হবে ৩১ মে ও ১ জুন।

সিনেফন্ডেশন বিভাগের পাঁচ বিচারক

/জেএইচ/এমএম/