বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রতিদিনের আয়োজন নিউজ আওয়ার এক্সট্রায় আজকের আলোচনার বিষয় ছিল ‘পারসেপশন’। মুন্নি সাহার সঞ্চালনায় আজকের নিউজ আওয়ার এক্সট্রায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম , অভিনেত্রী সোহানা সাবা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম চৌধুরী, অনলাইন একটিভিস্ট ও গণজাগরণ কর্মী মারুফ রসুল, এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ প্রভাষ আমিন, অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়া, কল্যান কোরাইয়ার বন্ধু রসি, এটিএন নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক সামদানী হক নাজুম।
এটিএন নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক সামদানী হক নাজুমের একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয় কিভাবে কোথায় দুর্ঘটনার শিকার হন কল্যাণ কোরাইয়া। প্রতিবেদক বলেন এই বিষয়টা নিয়ে একটা স্বনামধন্য পত্রিকার কাছ থেকে যেমনটা সাড়া পাওয়ার কথা আমরা পাইনি। অভিযোগ প্রথম আলোর কাছ থেকেই এসেছিল সেখানে উল্লেখ ছিল কল্যাণ এর নাম, লেখা ছিল কল্যাণের গাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। আমরা তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, তার মতে বি আর টি এ’র একজন পরিদর্শক দেখে গিয়েছেন কিন্তু এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি।
ব্যরিস্টার তানজিব উল আলম বলেন এই ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা হওয়ার কথা। জামিন অযোগ্য অপরাধ এটি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নির্ভর করে কোন ধারায় মামলাটি হয়েছে। এফআইআর পরের দিন হয়, এর আগেই সব ছড়িয়ে পরে। জিয়ার এক্সিডেন্ট খুব আগ্রহ জাগিয়েছে মানুষের মনে। দুই দিকেই সেলিব্রেটি। যিনি ভিক্টিম তিনিও একজন মিডিয়ার লোক যার নামে মামলা সেও। এ ধরনের মামলাকে হাই প্রোফাইল মামলা বলা হয় এবং এদের উপর বিশেষ নজরদারি থাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের।
দুর্ঘটনায় আহত কল্যানের বন্ধু রসি বলেন, আমি আহত হই তেজগাঁও থানার একটু আগে, কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে বলা হয় ড্রেসিং করতে পারবে কিন্তু স্টিচ করতে হবে ঢাকা মেডিকেলে। তার নিকট আত্মীয় তাকে সি এন জি তে করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যায়। এর পর কয়েকদিন আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় কারও সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। পুলিশ এসেছিল ইন্টারভিউ নিতে। আমাকে ভিডিও করে এবং চলে যায়।
অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও গণজাগরণকর্মী মারুফ রসুল বলেন, আমার কাছে মনে হয় পারসেপশন থেকে কোনও কিছু করা এটা একটা স্ট্র্যাটেজি। এই ক্ষেত্রে একটা শ্রেণি কাজ করে। তারেক মাসুদের ঘটনা যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল মিরসরাইয়ের ঘটনা তেমন আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি।
পারসেপশনের যে রাজনীতির যে শিকার মানুষ হচ্ছে তা অস্বীকার করা যাবেনা। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভুল স্বীকার করার প্রবণতা আমাদের নেই । ভুল হলে বলতে হবে। আমরা ইগো নিয়ে বসে থাকি।
/এফএএন/