সেন্সর বোর্ড ঘেরাওয়ের পর এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে

আন্দোলনকারীদের একাংশযৌথ প্রযোজনার ছবির নামে অনিয়মের প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চলচ্চিত্র ঐক্যজোট। রবিবার (১৮ জুন) বেলা ১১টায় এ ধর্মঘট শুরু হয়। এসময় বিএফসিডির সামনে তারা অবস্থান নেন। এরপরই আন্দোলনকারীরা চলে যান রাজধানীরর ইস্কাটনে অবস্থিত চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ডের সামনে। বেলা  ১টা ১০ মিনিটের তারা ঘেরাও কর্মসূচি দেন। বিষয়টি তথ্য মন্ত্রণালয় অবগত হওয়ার পর আলোচনার জন্য বসার কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আর সে অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা মন্ত্রাণালয়ের দিকে রওনা দিয়েছেন বেলা দুইটার দিকে।
চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের সমন্বয়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন অভিনয়শিল্পী ফারুক, ডিপজল, রিয়াজ, রুবেল, পপি, জায়েদ খান, ইমন, সাইমন, বাপ্পি, পরীমনি, শান, কায়েস আরজু, নিঝুম রুবিনা, মৌমিতা মৌ, শিমুল খান, ‍সুব্রত পরিচালক-প্রযোজক মুশফিকুর রহমান গুলজার, খোরশেদ আলম খসরুসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতির নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি সভায় বসতে নায়ক ফরুকের সঙ্গী হয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সহ সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলক খোকন, যুগ্ন মহাসচিব শাহীন সুমন, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
এদিকে আন্দোলনকারীদের আরেকটি অংশ সেন্সর বোর্ডের সামনে অবস্থান করছেন এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। তারা এখনও (বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ) সেন্সর বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি, দীর্ঘদিন ধরে যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণা চলছে।
বিশেষ করে যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘নবাব’ ও ‘বস-টু’ ঈদে মুক্তি উপলক্ষে এ আন্দোলন শুরু হয়। এরমধ্যে ‘বস-টু’ ছবিটিতে দুই দেশের সমসংখ্যক শিল্পী না থাকার অভিযোগ রয়েছে।
/এমআই/এমএম/