অভিনেত্রী থেকে হ্যাপীর হিজাব পরে ঘোরাফেরা সবার মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে বলে জানায় এএফপি। ২২ বছর বয়সী এই নায়িকার ধার্মিক হয়ে যাওয়াটা দেশের রক্ষণশীলতাকেই উপস্থাপন করে বলে মনে করা হচ্ছে।
হ্যাপীর রূপান্তর নিয়ে প্রকাশিত ‘হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ’ গ্রন্থের মাধ্যমে তার ইসলামের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেছে সংবাদ সংস্থাটি। জানা গেছে, তারকাখ্যাতি ছেড়ে ইসলামি মনোভাবে ডুবে থাকার ফলে তাকে নিয়ে প্রকাশিত বইটির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে পাঠকদের মধ্যে। তাই এর পুনর্মুদ্রণ হচ্ছে।
২০১৩ সালে ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় হ্যাপীর। তবে ২০১৪ সালের শেষের দিকে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। যদিও বইতে রুবেলের কোনোদিক তুলে ধরা হয়নি। রুবেলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটার পর রাতারাতি তাবলীগ জামাতে যোগ দেন হ্যাপী। এর মাধ্যমে জীবনের অতীত ভুলতে চেয়েছেন তিনি।
হ্যাপীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুমতি পেয়ে বইটি যৌথভাবে লিখেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক ও সাদেকা সুলতানা সাকি দম্পতি। এ গ্রন্থের প্রচ্ছদে বলা হয়েছে, ‘সাবেক অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপীর দ্বীনের পথে উঠে আসার অশ্রুভেজা ঈমানদীপ্ত সাক্ষাৎকার’।
ফারুক এএফপিকে বলেন, ‘ধার্মিক হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে নিজের ব্যক্তিগত সব ছবি মুছে ফেলতে শুরু করেন হ্যাপী। এরপর ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। নিজের নাম বদলে রেখেছেন আমাতুল্লাহ। এখন বোরকা ব্যবহার করেন তিনি। এমনকি হাত থেকে পা অবধি ঢেকে ঘর থেকে বের হন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে কোরআন পড়তে মাদ্রাসায় ভর্তি হন তিনি।’
অতীতকে চিরতরে ভুলতে নিজের সবশেষ ছবি ‘রিয়েল ম্যান’-এর মুক্তি ঠেকাতে লড়েছিলেন হ্যাপী। যদিও সফল হননি তিনি। বইতে নিজের রূপান্তর প্রসঙ্গে দুই লেখককে হ্যাপী বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে নবজন্ম হলো আমার। এখন আর অতীতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই আমার। ওটা অন্য একটা মেয়ের গল্প ছিল।’
আবার কখনও তারকা জীবনে ফিরবেন কিনা প্রসঙ্গ টেনে আনলে হ্যাপী বইটির দুই লেখককে বলে দিয়েছেন, ‘নরকের আগুনে আর পুড়তে চাই না।’
সূত্র: এএফপি, ডেইলি মেইল
/এমএম/জেএইচ/