এদিকে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ, ২২ জুন সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউিনিট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, বুকিং অ্যাজেন্ট ও প্রযোজকরা।
এরপর বেলা ১টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করেন তারা। মানব বন্ধনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী শোয়েব রশিদ বলেন, ‘গতকাল দুপুরে সেন্সর বোর্ডে প্রবেশের পথে আমাদের সমিতির সভাপতি এবং সেন্সর বোর্ডের সদস্য জনাব ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের উপর হামলা হয়েছে। তথাকথিত চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্য চিত্রনায়ক রিয়াজ, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ কতিপয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক জনাব নওশাদের উপর নেক্কারজনক আক্রমণ চালায় এবং রাস্তায় ফেলে মারপিট করে। যার কিছু চিত্র মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি সত্বেও হামলাকারীরা এই দুঃসাহস দেখিয়েছে। তবে পুলিশই শেষ পর্যন্ত নওশাদ সাহেবকে রক্ষা করে সেন্সর বোর্ডে নিয়ে যায়। এরা এতটাই আক্রমণাত্মক ছিল যে হামলার পরেও দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করে। সেন্সর বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি হুমকি প্রদর্শন করে দুঃসাহস দেখায়। আঘাতপ্রাপ্ত নওশাদ সাহেবকে সেন্সর বোর্ডের সকল সম্মানিত সদস্য আহত অবস্থায় দেখেছেন। তাদের মধ্যে তথ্য ও আইন সচিব দ্বয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবও ছিলেন।’
যৌথ প্রযোজনার নানা অনিয়ম নিয়ে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের আন্দোলন শুরু হয় ১৮ জুন সকাল থেকে। অপরদিকে প্রযোজক, বুকিং এজেন্ট ও হল মালিকরা ‘গো’ ধরেছেন এই বলে- যৌথ প্রযোজনার ছবিই চালাবেন তারা, সেটা যেভাবেই হোক। কলকাতার সঙ্গে জাজের ‘বস-টু’ ও ‘নবাব’কে ঘিরেই মূলত চলমান বিতর্ক।
এরই মধ্যে ১৮ জুন রাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয় জাজ এর নেতৃত্বে। এ সম্মেলনে প্রযোজক, বুকিং অ্যাজেন্ট, হল মালিক ও শিল্পীরাও উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ হুমকির সুরে বলেন, ‘এ ছবি দুটি মুক্তি না পেলে আমাদের সিনেমা হলগুলো ঈদে বন্ধ করে রাখব। কারণ এ ছবিগুলোর সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক ইনভলবমেন্ট আছে।’
প্রসঙ্গত, যৌথ-প্রযোজনার ছবি ‘বস-টু’ ও ‘নবাব’ ছবি দুটির বিরুদ্ধে যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা সঠিকভাবে মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে আসছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতারা। আর এই ঐক্যজোটের নেতৃত্বে আছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতিসহ বেশ ক’টি চলচ্চিত্র সংগঠনের নেতারা।
২১ জুন দুটি ছবিই বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পায়।