এই ঈদে হাওরের মানুষ ও তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস নিয়ে ঈদের দিন থেকে তিনদিন এই অনুষ্ঠান চলবে।
এর আগে প্রতি বছরই ঈদ উপলক্ষে প্রচারিত হয়েছে ‘আনসাং স্টারস’। এতে গান করেছেন সেইসব প্রতিভা, টেলিভিশনে গান করা যাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
কীভাবে শুরু হলো এমন প্রশ্নে মুন্নী সাহা বলেন, ‘‘নিউজের কাজে নানা জায়গায় যাওয়া লাগে। হয়তো রাস্তায় কেউ গান গাইছে। তার পাশে বসলাম। কথা বলার পর একসময় হয়তো বলেন, আমাদের গান টিভিতে দেখান। আমিতো এই সেকশনের লোকই না। তারপরও একসময় এসব কথা ফেলতে পারি না। আমার কাছে একেবারেই এগুলো কেবল গান না, একেকটি গল্প মনে হয়। সেই যে শুরু হলো। এখন ঈদের আগে থেকেই খবর পেতে থাকি, কোথায় এমন ‘আনসাং স্টারস’ আছে। সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি এই অনুষ্ঠানে।’’
এবারের শ্যুটিং হয়েছে সুনামগঞ্জের টাঙুয়ার চরসহ চারটি হাওরে।
মুন্নী সাহা বলেন, ‘হাওরের পরিস্থিতি যখন দেখতে গেলাম তখন সেখানকার নারীরা মজা করেই বলল, একটা রাইত থাকবা না? না থাকলে বুঝবা ক্যমনে? আমিও মজা করেই জানতে চাই, কই রাখবা? বলে কিনা বুকের ওপর! এই মানুষগুলোই সারাদিন না খেয়ে আছে কিন্তু মুখে পান আছে, হাসিও আছে।’
মুন্নী আরও বলেন, ‘আমি যখন উনাদের কণ্ঠে গান শুনে জানতে চেয়েছিলাম, কষ্টের মধ্যে গান কি করে করেন? সাবলীলভাবেই বললেন, এর মধ্যেই গান আসে। কথা হয় রিয়াজউদ্দিন চাচার সঙ্গে। শক্তিশালী এই মানুষটি বলেন, আমি অন্ধ তবে ফেলনা না। ১২ জনের পরিবার, দুইজন এতিম পালি। তার উদ্যমী কথা শুনে জিজ্ঞেস করি, এ আনন্দের খোঁজ কই? তিনি বলেন, কারও কাছে হাত পাতি না।’
এবারের আউটডোরে এতবড় শ্যুটিং নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মুন্নী সাহা। ক্যামেরার পেছনে বেশ সময় দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানান, রিপোর্টিং প্রডিউসের কাজ তাদের রোজই করতে হয়। স্ক্রিনে থাকার কারণে পেছনের যে কাজ, পরিকল্পনা এসব একেবারেই মূল্যায়ন হয় না। এবারের কাজটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করেছেন তিনি।
শুটিং অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুটিং করেছি। প্রায় না খেয়ে বলা যায়। শেষ গানের সময় ঢুলি বলে খিদা লাগসে বিস্কুট দেন। সেই বিস্কুট আনতে আনতে গায়ক গানের টান দিলো অমনি ঢোলে পড়ল বাড়ি, বিস্কুট খাওয়া হলো না। আমি ভাবি, ঢোলে কী শক্তি, গানের যে ক্ষমতা, হাওরের যে টান।’
/ইউআই/এফএএন/এমএম/