মনিপুরি থিয়েটারের ঢাকা সফর

তিন দিনের ঝটিকা সফরে ঢাকায় এসেছে সিলেটের কমলগঞ্জের নাটকের দল মণিপুরি থিয়েটার। ২৮ জুলাই (শুক্রবার) থেকে ৩০ জুলাই (রবিবার) পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে তারা পরিবেশন করবে দুটি নাটকের খণ্ডাংশ এবং একটি পূর্ণ নাটক।

‘কহে বীরাঙ্গনা’র একটি দৃশ্য২৮ জুলাই (আজ) লোক নাট্যদলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‌‘পাঠাভিনয় উৎসব’। উৎসবে দলের অভিনয়শিল্পী জ্যোতি সিনহা শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে পাঠাভিনয় করবেন ‘রুধিররঙ্গিনী’ নাটকের কিছু অংশ। ২৯ জুলাই জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে সরকারি সংগীত কলেজ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘হাজার বছরের বাঙলা গান’ অনুষ্ঠানে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর ‘নৌকাখণ্ড’ মঞ্চায়িত হবে।
এছাড়া ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হবে ‘কহে বীরাঙ্গনা’। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্য অবলম্বনে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। মহাভারতের নারী চরিত্র ‘শকুন্তলা’, ‘দ্রৌপদী’, ‘দুঃশলা’ ও ‘জনা’কে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই নাটকের গল্প। এতে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা।
২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে ‘কহে বীরাঙ্গনা’র প্রথম প্রদর্শনী হয়। এর পর ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন মঞ্চে নাটকটির প্রদর্শনী প্রশংসা অর্জন করে।
সেরা মঞ্চনাটক হিসেবে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) প্রদত্ত আব্দুল জব্বার খান পদক অর্জন করে ‘কহে বীরাঙ্গনা’। এ ছাড়া ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আসাম ও ত্রিপুরায় নাটকটির প্রদর্শনী হয় এবং ভারতের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার আমন্ত্রণে নাটকটির বিশেষ প্রদর্শনী হয় কলকাতায়।
নাটকটিতে জ্যোতি সিনহার সঙ্গে ভাবমুদ্রা রূপায়ণে রয়েছেন স্মৃতি সিনহা, অরুণা সিনহা, প্রিয়াঙ্কা সিনহা। সংগীতে রয়েছেন শর্মিলা সিনহা, বাদ্যে রয়েছেন বিধান চন্দ্র সিংহ, বাবুচাঁন সিংহ।
/এমএম/