সবখানে সবার উপরে ‘দেসপাসিতো’!

মাত্র দুই সপ্তাহেই ওলট-পালট বিশ্ব সংগীতের র‌্যাঙ্ক। দেসপাসিতো; প্রায় অজানা এক দ্বীপের এই গানটি তছনছ করে দিয়েছে সব রেকর্ড। এর আগে হয়েছিল বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বেশিবার বাজানো গান। এবার ইউটিউবে সবচেয়ে বেশিবার দেখা মিউজিক ভিডিওর রেকর্ডটিও গানটির কব্জায়।

দেসপাসিতো’র একটি দৃশ্যগত ১২ জুলাই দক্ষিণ কোরীয় র‌্যাপার সাইয়ের ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ গানটিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায়  আরেক মিউজিক ভিডিও উইজ খলিফা ও চার্লি পুথের ‘সি ইউ অ্যাগেইন’। তখনই তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল তিন নম্বরে থাকা ‘দেসপাসিতো’। এরপর আর বেশি দিন সময় নেয়নি গানটি।
লুই ফনসি ফিচারিং ড্যাডির ‘দেসপাসিতো’র এখন বর্তমান ভিউ ৩০৩ কোটির ওপরে অার ‘সি ইউ অ্যাগেইন’ ৩০০ কোটির ঘরে।
এদিকে সর্বকালের সেরা গানও এখন ‘দেসপাসিতো’। শুধু হিটের বিচারেই নয়, বাণিজ্যিকভাবেও এ গানটি এখন সেরা। ইউনিভার্সাল মিউজিক ১৯ জুলাই জানিয়েছে, পৃথিবীজুড়ে অ্যাপল মিউজিক, স্পটিফাই, গুগল প্লে, আমাজন আনলিমিটেড, ডিজার, ইউটিউবসহ জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে এখন পর্যন্ত ৪৬০ কোটি বারেরও বেশি বেজেছে এটি। এই সংখ্যার সামনে নেই আর কোনও গান।

দেসপাসিতো:

বিশ্বের ৩৫টি দেশের মিউজিক টপচার্টগুলোতে এখন শীর্ষে আছে ‘দেসপাসিতো’। ইউএস বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড চার্টে ১০ সপ্তাহ, স্পেনে ১৭ সপ্তাহ টপচার্টের শীর্ষে এবং ব্রিটেনে ৯ সপ্তাহ এক নম্বরে আছে এই গান। দেশে দেশে এফএম রেডিওগুলোতেও এটি দেদার বাজানো হচ্ছে। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী লুসিয়ান গ্রেইঞ্জ।
এদিকে বিশ্বব্যাপী নিজের গানের সাফল্যে অবদান রাখায় বিবারকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি লুই ফনসি। আগে পুয়ের্তোরিকোর বাইরে তেমন একটা পরিচিত ছিলেন না, কিন্তু এখন সারা পৃথিবীর ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে তার নাম। ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বিশ্বে সবচেয়ে বেশিবার বাজতে থাকা গানের রেকর্ড গড়েছে ‘দেসপাসিতো’, এটা আমার জন্য সম্মান। আমি মানুষকে নাচাতে চেয়েছি। কিন্তু এই গান যে এভাবে ইতিহাস গড়বে তা মোটেও ভাবিনি।’’
মূল কারিগর লুই ফনসি (ডানে) ও ড্যাডি ইয়াঙ্কিপুয়ের্তোরিকোতে জন্ম হলেও লুই ফনসি এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে। চলমান রাজনৈতিক সংকট প্রসঙ্গ টেনে এনে সম্প্রতি তিনি বিবিসিকে বলেন, “আমরা এমন একটা সময় যাচ্ছে যখন মানুষ আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করতে চায়, গড়ে দিতে চায় দেয়াল। এমন পরিস্থিতিতে ‘দেসপাসিতো’ বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতিকে এক সুতোয় গেঁথেছে, এজন্য আমি গর্বিত।”
সি ইউ অ্যাগেইন:

/এম/এমএম/