২০১১ সালের এই দিনে (১৩ আগস্ট) নতুন চলচ্চিত্র ‘কাগজের ফুল’-এর লোকেশন দেখে আর ঢাকায় ফেরা হয়নি তারেক মাসুদের। বরং তিনি নিজেই জীবন্ত ফুল হয়ে ফুটে রইলেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মানসপটে।
যা ইতোমধ্যে বেশ কিছু কাজ করেছে। সবই মূলত প্রতিভাধর এ নির্মাতার স্মরণে। তৈরি করা হয়েছে ‘তারেক মাসুদ’ নামের ওয়েবসাইট। আছে ইউটিউব চ্যানেল। দুটোতেই রাখা হয়েছে তারেক মাসুদের নানা সৃষ্টি।
কিন্তু ঐ যে ‘কাগজের ফুলে’র গল্প! সেটা? মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে শেখ একিম উদ্দিনের বাড়ি। এই বাড়িতেই তারেক মাসুদ তার পরবর্তী সিনেমা ‘কাগজের ফুল’-এর চিত্রায়ণ করতে চেয়েছিলেন।
মানিকগঞ্জের পাশাপাশি দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থান চূড়ান্ত করেছিলেন তারেক। তার প্রয়াত হওয়ার পর ধীরে ধীরে এ স্থানগুলোও হারিয়েছে সৌন্দর্য। ক্যাথরিন বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘এ স্থানগুলো আর আগের মতো নেই। নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন করে আবার লোকেশন বাছাই করতে হবে। ধীর গতিতে চলছে পাণ্ডুলিপির কাজ। তাই কবে নাগাদ আবার কাগজের ফুলের কাজ শুরু করবো তা বলা যাচ্ছে না। তবে এই ফুল ফুটবেই।’
এদিকে এ মুহূর্তে ফরিদপুরের ভাঙ্গার নূরপুর গ্রামে অাছেন ক্যাথরিন মাসুদ। সেখানেই সমাহিত হয়েছেন বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ।
১৯৫৬ সালে এই গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তারেক মাসুদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৮২ সালের শেষ দিকে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে তার পথচলা। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জীবনের ওপর প্রামাণ্য ‘আদম সুরত’। এরপর নিয়মিতই তিনি প্রামাণ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'মাটির ময়না' (২০০২)। এটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় এবং দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। ‘নরসুন্দর’, ‘অন্তর্যাত্রা’, ‘রানওয়ে’-এর মতো তার কাজ এখনও প্রতিনিধিত্ব করে এদেশের সমাজ-সংস্কৃতি-চলচ্চিত্রের।
আজ (১৩ আগস্ট) এ চলচ্চিত্র অগ্রগামীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।
তারেক মাসুদকে নিয়ে তৈরি ক্যাথরিন মাসুদের ‘ফেরা’:
/এম/এমএম/