আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পদক পাচ্ছেন আলী যাকের ও মফিদুল হক

বামে আলতাফ মাহমুদ, ডানে পদকপ্রাপ্ত আলী যাকের ও মফিদুল হক
চলতি বছর ‘শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পদক ২০১৭’ পাচ্ছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের ও শিল্পসমালোচক-মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।

আগামী ৩০ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন এ গুণীদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আয়োজক শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ও শহীদ কন্যা শাওন মাহমুদ।


শাওন মাহমুদ বলেন, ‘গত সব অনুষ্ঠানের ঠিকানা ছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সেগুনবাগিচা। এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এ পর্যন্ত কখনও তাদের মিলনায়তন ব্যবহারের জন্য কোনও বিনিময়মূল্য নেয়নি। তাদের কাছে আমরা জনমের ঋণী। দূরত্ব, যানজট ও দিনটি কার্যদিবস হওয়ার কারণে এইবার আমরা অনুষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনটি বেছে নিয়েছি।’
শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন চলতি বছর ১২ বছর পূর্ণ করলো।
জানা গেল, ফাউন্ডেশনের সব সদস্যের মতামত অনুযায়ী পদকপ্রাপ্ত এ গুণীকে একটি সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয় ও নগদ টাকা প্রদান করা হবে।



শহীদ আলতাফ মাহমুদ পদক ও স্মরণ অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

প্রসঙ্গত, আলতাফ মাহমুদ একজন ভাষা সৈনিক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সুরস্রষ্টা।
বাংলাদেশি সত্ত্বায় প্রথম যে গানটি আঁচড় কেটেছিল তা হলো, ‌‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। শুধু কী ভাষা আন্দোলনের চিত্রধারণ? এ গানটি প্রেরণা হয়ে ধরা দেয় ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৬৬৯ ও মহান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। আর যার সুরে এ গানটি প্রাণ পায়, তিনি সুরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদ। তার অসংখ্য গানগুলোর মধ্যে এ গানটি তাই ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

শুধু সুর আর গানে নয়, এ মহানের কীর্তি আছে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনেও। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ও গেরিলাযোদ্ধা হিসেবে তার অবদান অনস্বীকার্য।

/এমএম/