বিএফডিসি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে নায়করাজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখান থেকে আসরের নামাজের সময় নিয়ে যাওয়া হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। শেষ জানাজা পড়ানো হবে সেখানেই। এরপর বিকাল ৫টা নাগাদ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে এই কিংবদন্তির মরদেহ।
প্রসঙ্গত, ষাটের দশকের মাঝের দিক থেকে এফডিসিই ছিল রাজ্জাকের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল। এখানকার কোথায়ইবা তার পা পড়েনি! সত্তরের দশকে এখানকার ফ্লোরগুলো চাঙা থাকতো তার সুবাদেই। নায়করাজের সিনেমার শুটিং হলো জমজমাট হতো ফ্লোরগুলো। দিনে দিনে ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘পিচঢালা পথ’ পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশীয় চলচ্চিত্রের ‘রংবাজ’।
সারাজীবন চলচ্চিত্র নিয়েই থেকেছেন রাজ্জাক। অভিনয়ই নয়, এফডিসি তাকে পেয়েছে পরিচালক-প্রযোজক হিসেবেও। ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বদনাম’, ‘অভিযান’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘প্রফেসর’, ‘যোগাযোগ’, ‘সৎ ভাই’ পরিচালনা করে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তার প্রযোজনা সংস্থা রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে তিনি উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নির্মাণ করেছিলেন।
রূপালি পর্দায় রাজ্জাককে ‘বাবা কেন চাকর’-এর মতো অনেক ছবিতে কাঁদতে দেখা গেছে। চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁর সেই কান্না কাঁদিয়েছে দর্শকদেরও। কান্না কিংবা কমেডি, প্রেম কিংবা বলিষ্ঠ পুরুষের চরিত্রে এমন মানুষের অভিনয় আর দেখা যাবে না বলে এখন সতীর্থরা কাঁদছেন।
শুধু সতীর্থরাই নন, সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই শোক। রাজ্জাক ভক্তদের চোখের কোণে জল জমেছে। ২১ আগস্ট ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এক অধ্যায়ের সমাপ্তি।
বিএফডিসি’র কিছু স্থিরচিত্র (নিম্নে), ধারণ করেছেন সাজ্জাদ হোসেন: