‘ঈদের মজার স্মৃতি ছোটবেলায় বেশি ছিল। বড়বেলা মজা করতে পারি না তেমন। টিভি লাইভ থাকে। শৈশবের একটা ঘটনা বলি। ঈদের বেশ কিছুদিন আগে আম্মু আমাকে পোশাক কিনে দিলেন। বাকি রইলো কসমেটিকস। এর কয়েকদিন পর আম্মু আমাকে শপিং মলে নিয়ে গেলেন। সেদিন আরেকটা পোশাক দেখে আমার পছন্দ হয়ে গেলো খুব। তাই আম্মুকে বললাম— কসমেটিকস লাগবে না, আমাকে এ পোশাকটা কিনে দাও। তিনি কিনে দিলেন। ফলে আমার জন্য বরাদ্দ বাজেট শেষ হলো। কোরবানি ঈদে তো এমনিতে কেনাকাটা কম হয়।
ঈদের আগের দিন আমার খেয়াল হলো, আমার তো কসমেটিকস নেই! কিন্তু লিপস্টিক, কাজল, আইলাইনার এবং হেয়ারক্লিপ লাগবেই আমার। তখন চেঁচামেচি আর কান্নাকাটি শুরু করলাম। আব্বু জানতে চাইলেন, ঘটনা কী? তাকে জানালাম, আম্মু আমাকে কসমেটিকস কিনে দেননি। আম্মু তখন সব সত্যি বলে দিলেন। আমি তো কোনোভাবেই মানি না। কান্নাকাটি করতেই থাকলাম।
আব্বু তখন বললেন, কসমেটিকস না কিনে পোশাক কিনলাম কেন? তখন বললাম, ওইটা তো ওইদিনের ব্যাপার। কিন্তু ঈদের জন্য তো আমার কসমেটিকস লাগবে। ছোটবেলায় ইচ্ছে করেই একাধিক পোশাক কিনতাম, আবার কসমেটিকসও নিতাম। সেইসব ঘটনা মনে পড়লে বুঝি কতোই না দুষ্টু ছিলাম।
ঈদ নিয়ে আরও তিনটি মনে রাখার মতো ঘটনা আছে। ওই তিনবারই দেশের বাইরে ছিলাম। বাহরাইন, কাতার ও আমেরিকায় কনসার্টে গাইতে গিয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশকে অনেক মিস করেছি। দেশের বাইরে ঈদ করার মধ্যে কোনও মজা নাই। পরিবারের সঙ্গেই ঈদের আনন্দ ভালোভাবে বোঝা যায়।’