এবার পরিচালকের পাশে দাঁড়ালেন অনন্ত জলিল

অনন্ত জলিল ও এফ আই মানিক (ছবি: সংগৃহীত)চলচ্চিত্র পরিচালক এফ আই মানিকের দিকে সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিলেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। একইসঙ্গে দেশের প্রতিষ্ঠিত তারকা ও চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যসহ সবাইকে তার সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘এটা আমাদের কর্তব্য।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব ও বহু জনপ্রিয় ছবির নির্মাতা এফ আই মানিকের সমস্যার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনন্ত। সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ৫৮ বছর বয়সী গুণী এই পরিচালকের অর্থকষ্টের কথা কিভাবে জানতে পেরেছেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

অনন্ত লিখেছেন, ‘অতি কষ্টের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্য এফ আই মানিক ভাই, যিনি এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্প, দর্শকসহ সবার জন্য এত কিছু করেছেন, তাকেই আজ অর্থকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। অর্থের অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারছেন না তিনি। গতকাল (২০ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ তিনি আমার অফিসে আসেন। তার সামনে যেতেই চোখে পড়লো মলিন চেহারা। তিনি নিজের কষ্টের কথার পাশাপাশি অর্থের অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে না পারার কথা জানান। তার কথা শুনে দুঃখ পেয়েছি এই ভেবে, যার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক তারকা, তাকেই কিনা অর্থের অভাবে ঘুরতে হচ্ছে দ্বারে দ্বারে।’

অনন্ত আরও লিখেছেন, ‘এফ আই মানিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি। আশা করি, তার মতো কোনও গুণীজনকে যেন দ্বারে দ্বারে যেতে না হয়। আমরাই যেন প্রয়োজনে তাদের কাছে পৌঁছে যাই।’

এফ আই মানিক পরিচালিত ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় রয়েছে ‘স্বপ্নের বাসর’ (২০০১), ‘দাদীমা’ (২০০৬), ‘কোটি টাকার কাবিন’ (২০০৬), ‘চাচ্চু’ (২০০৬), ‘পিতার আসন’ (২০০৬), ‘আমাদের ছোট সাহেব’ (২০০৮), ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’ (২০০৯), ‘মাই নেম ইজ সুলতান’ (২০১২) প্রভৃতি।

এদিকে অনন্তকে সবশেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘মোস্ট ওয়েলকাম ২’ (২০১৪) ছবিতে। তার অভিনীত অন্য ছবিগুলো হলো ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ (২০১০), ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’ (২০১১), ‘দ্য স্পিড’ (২০১২), ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ (২০১২) ও ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ (২০১৩)।