প্রসূনের ভাষ্য, ‘ওদের (মোহাইমিন) বাড়ি ময়মনসিংহে। সে আমার কাজিন। পরিবারকে না জানিয়েই আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। তবে ডিভোর্সটা আমার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। সানই আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি এখন অপেক্ষায় আছি।’
-কীসের অপেক্ষা?
‘জানি না, কী ঘটবে। তবে আমি আশাবাদী। সবারই ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে হবে। সে যদি ডিভোর্স দিয়ে ভালো থাকে সেখানে আমার কী বলার থাকে? তবে এখনও সিদ্ধান্ত বদলের কিছু সময় আছে। যদি তার সিদ্ধান্ত পাল্টায় আমি হয়তো অনেক সুখী হবো।’
‘২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সিডনিতে বিয়ে হয় আমাদের। বিষয়টি কাছের দু’একজন ছাড়া তেমন কেউ জানতো না। তখন বেশ কিছুদিন অস্ট্রেলিয়ায়ও ছিলাম।’
-বিচ্ছেদের আবেদন কত তারিখে করা হয়েছে?
‘আমি তারিখটা জানি না। সরকারজি’ই (মোহাইমিনের পারিবারিক পদবি) আমাকে জানিয়েছে। বললো, ফেব্রুয়ারিতে এটা কার্যকর হবে।’
-বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবছেন?
‘আমি আমার পরিবার নিয়ে চিন্তিত। জানি না সংবাদগুলো কীভাবে বাবা-মা নিতে পারবেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো অনেক স্পর্শকাতর। তাই দর্শক, সংবাদকর্মী ও পরিচিত সবারই উচিত বিষয়টি বোঝা, অন্যের সম্মান রক্ষা করা। আমি চাই না, এমন কোনও কিছু ঘটুক যা আমার বাবা-মা-ভাইকে কষ্ট দেবে।’
প্রসূন জানালেন, সবকিছু তিনি সামলে উঠতে চান।
বিটিভির ‘নতুন কুঁড়ি’র মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আসা এই মেয়েটি ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১২’ প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ। এরপর তাকে দেখা গেছে বেশকিছু নাটক ও টেলিছবিতে। মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অচেনা হৃদয়’, ‘সর্বনাশা ইয়াবা' ছাড়াও ও মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘মৃত্যুপুরী’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন। সামনে পরিবারের সান্নিধ্যে নিজেকে গুছিয়ে নিতে চান তিনি।