তুরস্কেও যাচ্ছে ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’

 

অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেলবাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’ এবার নির্বাচিত হলো তুরস্কের ছবি মেলায়। দেশটির আনকারায় হাক-ইস স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান পেয়েছে ছবিটি। তুরস্ক সরকারের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এ আয়োজন শুরু হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।

উৎসবের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২৪টি দেশ থেকে ৫৪০৪টি ছবি জমা পড়েছে। এর মধ্য থেকে নির্বাচিত হলো চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার ছবিগুলো। ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’ সেগুলোরই একটি।

ছবিটির পরিচালক জসিম আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, “কোনও ধারাবর্ণনা ও সাক্ষাৎকার ছাড়াই সাজানো ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’-এ ইংরেজি, ইতালিয়ান, ফরাসি, স্প্যানিশ ও তুর্কি ভাষার ওপেন ক্যাপশন রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট ও তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে ছবিটি তৈরি করেছি।”

এ ছবির সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে— ওপরের দিকে তুলে ধরা একজোড়া স্যান্ডেল কাকে দেখাচ্ছে একটি রোহিঙ্গা শিশু? মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীকে? নাকি রাশিয়া, চীন ও ভারতসহ পরাশক্তিদের, যারা ব্যবসায়িক স্বার্থে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যাকে অন্ধভাবে সমর্থন করছে? নাকি গোটা পৃথিবীর সবাইকে যারা নৃশংস গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ দেখেও চুপ করে বসে আছে?

এর আগে ইতালির নেপলস মানবাধিকার চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয় ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’। ন্যাপোলিতে ৬ থেকে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব। এখানে প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান পেয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক ছবিটি।

৪ মিনিট ১৩ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’ পুরোটাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে মোবাইল ফোনে ধারণ করেছেন নির্মাতা জসিম আহমেদ। একটি শরণার্থী দলের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়াকে ঘিরে গল্প শুরু হয়। শেষে দেখা যাবে শরণার্থীদের আরেকটি দল আসছে ক্যাম্পে। ছবিটির সংগীত পরিচালনা ও শব্দ সজ্জা করেছেন রিপন নাথ। পাণ্ডুলিপি লিখেছেন ফরিদ আহমেদ।

জসিম আহমেদের আগের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘দাগ’ অংশ নিয়েছে ৭০তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের শর্ট ফিল্ম কর্নারে। এটি এখন যুক্তরাজ্যভিত্তিক শর্ট ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে আমেরিকার মূলধারার টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে। শিগগিরই ইউরোপের টেলিভিশনেও ১৯৭১ সালের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবিটি প্রচারের কথা রয়েছে।