ক্ষুব্ধ ঐশ্বরিয়ার চোখে জল!

ক্ষুব্ধ ঐশ্বরিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের চুপ করতে বলছেনভালোভাবেই চলছিল সব। মেয়েকে নিয়ে হাসিমুখে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কিন্তু সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী আর তার মেয়ে আরাধ্যর যুতসই ছবি পেতে সোরগোল পড়ে যায়। একসময় আলোকচিত্রী ও ক্যামেরাম্যানরা চেঁচামেচি করতে থাকে। এরপরই পরিস্থিতি হয়ে যায় ঘোলাটে।
ঘটনাটি সোমবারের (২০ নভেম্বর)। এদিন ছিল ঐশ্বরিয়ার বাবা কৃষ্ণরাজ রাইয়ের জন্মবার্ষিকী। তাই আরাধ্যকে নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে গিয়েছিলেন অ্যাশ। তার আশা ছিল, এমন দিনে আর এ ধরনের আয়োজনে অন্তত গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি নিয়ে উঠেপড়ে লাগবে না। কিন্তু তারা গতানুগতিক আচরণ করায় ক্ষেপে যান তিনি।
সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী রেগে ওঠে বলেছেন, ‘সিরিয়াসলি বলছি এবার থামুন। আমার ছবি কিংবা ভিডিও নেওয়ার কোনও দরকার নেই। সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি। এ ধরনের অনুষ্ঠানে কেমন থাকতে হয় তা আমরা জানি। এই শিশুরা এ ধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত নয় এটা বুঝতে হবে। কিছু সম্মান অন্তত দেখান। ওরা আমাদের জগত সম্পর্কে জানে না। এটা কোনও প্রিমিয়ার কিংবা পাবলিক অনুষ্ঠান না। আপনাদের সমস্যা কী?’
পাপারাজ্জিদের তিরস্কার করতে ছাড়েননি বচ্চন-বধূ। তার ব্যাখ্যা ছিল, এনজিও’র শিশুরা ক্যামেরার সামনে অভ্যস্ত নয়। একসময় তার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে, ক্ষোভে। পরে মায়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনে ৬ বছরের আরাধ্য। এরপর তারা সবাই মিলে কেক কাটেন।
শেষে হাসিমুখেই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেন ঐশ্বরিয়াঅনেক দাতব্য ও সমাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ঐশ্বরিয়া। তাই স্মাইল ট্রেন ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিওর ‘ডে অব স্মাইলস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাবার জন্মদিন পালন করেন তিনি। এ বছরের মার্চে মারা যান কৃষ্ণরাজ রাই।
বাবার জন্মদিনেই ফাটা ঠোঁট ও মাড়ি আছে এমন ১০০ শিশুর অস্ত্রোপচারের ব্যয়বহনের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা। তিনি ওই এনজিও’র শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেন।
এদিকে ঐশ্বরিয়া এখন ‘ফ্যানি খান’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। এতে তার সহশিল্পী অনিল কাপুর ও রাজকুমার রাও। সবশেষ তাকে বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে।