সোমবার উৎসবের উদ্বোধনী সন্ধ্যায় বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে দেশের প্রখ্যাত অভিনেতা, নির্দেশক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযোদ্ধা আলী যাকেরকে।
উৎসবের উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ.কে.এম. সাহিদ রেজা।
বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রযোজনা ও ব্যবস্থাপনায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র(টিএসসি) মিলনায়তনে ১১ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ৮দিন চলবে এই উৎসব। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে উৎসবে মঞ্চস্থ হবে দেশ-বিদেশের ১৭টি নাটক।
১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রথমে মঞ্চস্থ হবে প্রণব শর্মার নির্দেশনায় বুদ্ধদেব বসুর নাটক ‘বিশ বছর আগে অথবা পরে’। এর পর মঞ্চের আলোয় আসবে ট্রেভর সুথার্সের কাট ইট আউট অবলম্বনে ‘ক্ষরণ’। নাটকটির অনুবাদ, রূপান্তর ও নির্দেশনায় এস.এম লাতিফুল খাবীর। ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার কাজী নজরুল ইসলামের ‘শিল্পী’ নাটকটি নির্দেশনা দেবেন তামান্না ইসলাম। একই সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘ছুটি’ অবলম্বনে নাটক মঞ্চস্থ হবে। যার নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় থাকবেন রফিকুল ইসলাম সবুজ।
১৮ ডিসেম্বর সমাপনী সন্ধ্যায় মঞ্চের আলোয় আসবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোটগল্প অবলম্বনে নাটক ‘তারাবিবির মরদ পোলা’। যার নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় রাগীব নাঈম। আর উৎববের পর্দা নামবে মমতাজউদদীন আহমদ’র ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ নাটকটির মাধ্যমে। নাটকটির বিনির্মাণ ও নির্দেশনায় থাকবেন কীর্তি বিজয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০১৭ সম্পর্কে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. আহমেদুল কবির বলেন, ‘আমাদের বিভাগের এই নাট্যোৎসব বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক শিকড়ে প্রোথিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করি। বিজয়ের মাসে এই জ্ঞানমুখী নাট্যচর্চার একটি সামগ্রিক রূপরেখা হয়ে দর্শকের প্রাণে বিম্বিত হবে ৮দিনব্যাপী এই নাট্যোৎসব। এটাই আমাদের আন্তরিক প্রত্যাশা।’