এবারই প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ভারতে। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, ‘বর্তমান সময়ে গোটা দক্ষিণপূর্ব এশিয়া তথা বাংলাদেশ ও ভারতে উঁকি দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্ক ও বোঝাপড়া অত্যন্ত জরুরি। এই সুসম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা চালাতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অনেক। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতেই এই চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের সময় বেশকিছু চুক্তি করেন। এর মধ্যে দুই দেশে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। মোদী সরকার যেমন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃঢ প্রতিজ্ঞ, তেমনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জমি সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়ে দৃঢপ্রতিজ্ঞ।’
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রতিষ্ঠার কথা ও মুক্তিযুদ্ধে এই সংস্থার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন হাসানুল হক ইনু। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি উৎস দফতরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় বাংলা ভাষা আজ বিশ্বে ছয় নম্বরে রয়েছে। এজন্য আমরা গর্বিত।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ভারতের বাংলা ছবির সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক, গার্গী রায় চৌধুরী, বাংলাদেশের অভিনেত্রী পূজা চেরী, পশ্চিমবঙ্গের নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান প্রমুখ।
কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলিয়ে দেখানো হচ্ছে ২৫-৩০টি ছবি। ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে নন্দন ও নজরুল তীর্থে।