১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টায় মহানায়িকার স্মৃতিঘেরা শৈশবের বিদ্যাপীঠ পাবনা টাউন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সুচিত্রা সেন স্মরণসভায় এ মত ব্যক্ত করেন বিশিষ্টজনেরা।
দুই বাংলার নায়িকা সুচিত্রা সেনের চতুর্থ প্রয়াণ দিবস পালনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তার জন্মস্থান পাবনায় স্মরণসভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। স্মরণসভার শুরুতে সুচিত্রা সেনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কাজী আতিউর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান। জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা মারুফা মঞ্জুরী খান সৌমির সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সহসভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক। অনুষ্ঠানে সুচিত্রা সেন অভিনীত চলচ্চিত্রের গান পরিবেশন করেন জেলার সাংস্কৃতিক শিল্পীরা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জেলার প্রতি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন সুচিত্রা সেনের বাড়িটি পরিদর্শন করানো ও তাদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। তারা কী দেখলো, কী জানলো তা নিয়ে হবে এই প্রতিযোগিতা। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন তাদের সহায়তা করবে।’
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল তৎকালীন বৃহত্তর পাবনা জেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলা) বেলকুচির সেনভাঙার জমিদার বাড়িতে জন্ম নেন রমা দাশগুপ্ত। পরবর্তী সময়ে সুচিত্রা সেন নামে পরিচিত হন তিনি। বন্ধুরা তাকে চিনতো কৃষ্ণা দাশগুপ্ত নামেও। পরে পাবনা শহরের দিলালপুরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। সুচিত্রা সেন মহাকালী পাঠশালার ছাত্রী ছিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গে চলে যান পরিবারের সঙ্গে।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা ছবির এই মহানায়িকা।