অনুষ্ঠানের শুরুতে গোলাম মুস্তাফার জীবন নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক-২০১৮ পাওয়া ১০ গুণীজন হলেন- খান জিয়াউল হক, তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, এসএম মহসীন, রুহুল আমিন প্রামাণিক, নিরঞ্জন অধিকারী, কাজী মদিনা, ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী আরিফ (মরণোত্তর), রণজিত রক্ষিত ও সুবর্ণা মুস্তাফা।
এ সময় গুণীজনদের সম্মানস্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক, উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, ‘সংস্কৃতি কর্মীরা পকেটের টাকা খরচা করে কাজ করে যায়। এভাবেই আরও দীর্ঘ সময় কাজ করে যেতে হবে। কারণ এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি। অনেকেই বলেন আবৃত্তি শিল্পীরা নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ায়। আমি বলবো, এভাবেই মহিষ তাড়িয়ে যেতে হবে, নয়তো ওই সমস্ত মহিষ সব লন্ডভন্ড করে দেবে।’
গোলাম মুস্তাফার কথা স্বরণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে ব্যক্তিকে নিয়ে আজ এখানে জমায়েত হয়েছি তার জন্য শোক না করে আনন্দ করতে পারি। কারণ এই লোকদের মৃত্যু নেই, তার স্মৃতিগুলো মনে করে আনন্দ করতে পারি। তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় স্বাধীনতার পূর্বের সময়ে। তখন থেকেই তিনি মনের মধ্যে স্বাধীনতা ধারণ করতেন। যা তার আচরণে প্রকাশ পেত। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল পরিষ্কার। সবার মাঝে দেশ প্রেম থাকলেও সাহস থাকে না। তিনি ছিলেন সাহসী একজন মানুষ।’
এদিকে বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘মানুষের ধারণা ১৫ বছর হয় আমার বাবা নেই। তবে আমি বিশ্বাস করি আমার বাবা প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আছেন। গোলাম মুস্তাফারা মরেন না, তারা থেকে যায়।’
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দলীয় কবিতা পরিবেশন করে কণ্ঠশীলন, বৈকুণ্ঠ, স্রোত আবৃত্তি সংসদ, স্বরবৃত্ত, স্বরচিত্র, কথা, স্বরকল্পনসহ ১৫টি আবৃত্তি সংগঠন।
প্রথমবার পদক পেয়েছিলেন দেশের অন্যতম ১০ আবৃত্তিকার। তারা হলেন- মৃণাল সরকার (মরণোত্তর), নিখিল সেন, ওয়াহিদুল হক (মরণোত্তর), নাজিম মাহমুদ (মরণোত্তর), হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য (মরণোত্তর), অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস (মরণোত্তর), কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী (মরণোত্তর), সৈয়দ হাসান ইমাম, কামাল লোহানী ও আশরাফুল আলম।