অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রে তাদের কথা

তারেক ফাতাহ, রওশন জামির, মোয়াজ্জেম খান ও তারেক খান (বাম থেকে)১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান শাসক কর্তৃক বাঙালি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের ঘটনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র। ‌
যেখানে উঠে এসেছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, নিপীড়ন, শোষণ, বাঙালি জাতির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মিথ্যাচারসহ অনেক অজানা বিষয়।
‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’ নামের প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন কানাডা প্রবাসী ফুয়াদ চৌধুরী।
প্রামাণ্যচিত্রটি এবার বাংলাদেশে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত স্বাধীনতা উৎসবে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এটি দেখানো হবে।  
৬১ মিনিট ব্যাপ্তির প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন আমান উল্লাহ চৌধুরী।
নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী জানান, এতে প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশি ছাড়াও রয়েছেন পাকিস্তানের ৪ ব্যক্তিত্ব, যারা বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলাদেশিদের ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরেছেন।

নির্মতা ফুয়াদ চৌধুরীতারা হলেন রওশন জামির (১৯৭১ সালে যশোর জেলার পাকিস্তানি প্রশাসক, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল সেক্রেটারি হিসাবে অবসর নেন), সাংবাদিক তারেক খান (১৯৭১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে শেষ কার্গো দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যান), মোয়াজ্জেম খান (১৯৭১ সালে স্কুলপড়ুয়া কিশোর মোয়াজ্জেম খান, বাবা ছিলেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সে কারণেই জেনারেল নিয়াজীর প্রতিবেশী ছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে) এবং লেখক ও কলামিস্ট তারেক ফাতাহ।