তখন বলেছিলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই। আমাকে যৌথভাবে লাইফটাইম পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে—এ নিয়ে আমার প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। এই ক্ষোভের যৌক্তিক কারণ হলো এর আগে ১৯বার আমাকে জাতীয় পুরস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার দিতে গিয়েও বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার অপরাধ আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি।’
এদিকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানালেন বরেণ্য অভিনেত্রী ববিতা। তিনি বাংলা ট্রিবিউন বললেন, ‘আমি ভীষণ আনন্দিত।
লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট মানে সারা জীবনের কাজের সম্মান আর স্বীকৃতি। এবার আমাকে এই সম্মাননা জানানো হচ্ছে বলে সত্যিই আমি আনন্দিত আর উচ্ছ্বসিত। আমি যা পরিশ্রম করেছি তার সার্থকতা এটা। আমি এর পুরস্কার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ও আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তাদের ভালোবাসা ছাড়া আমার এ প্রাপ্তি হতো না।’
আজীবন সম্মাননা: যৌথভাবে পাচ্ছেন চলচ্চিত্রের দুই কিংবদন্তি ববিতা ও ফারুক।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: অজ্ঞাতনামা, প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ঘ্রাণ, প্রযোজক এস এম কামরুল আহসান।
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: জন্মসাথী, প্রযোজক একাত্তর মিডিয়া লি: ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক: অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: চঞ্চল চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: যৌথভাবে তিশা, ছবি- অস্তিত্ব ও কুসুম শিকদার, ছবি- শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেতা: যৌথভাবে আলীরাজ, ছবি- পুড়ে যায় মন ও ফজলুর রহমান বাবু, ছবি- মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেত্রী: তানিয়া আহমেদ, কৃষ্ণপক্ষ।
শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা: শহীদুজ্জামান সেলিম, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: ইমন সাহা, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালক: হাবিব, নিয়তি।
শ্রেষ্ঠ গায়ক: ওয়াকিল আহমেদ, ছবি- দর্পণ বিসর্জন, গান- অমৃত মেঘের বারি।
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মেহের আফরোজ শাওন, ছবি- কৃষ্ণপক্ষ, গান- যদি মন কাঁদে।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ছবি- মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গান- বিধিরে ও বিধি।
শ্রেষ্ঠ সুরকার : ইমন সাহা, গান- বিধিরে ও বিধি।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: তৌকীর আহমেদ, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: রুবাইয়াত হোসেন, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: ইকবাল আহসানুল কবির, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক: উত্তম গুহ, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: রাশেদ জামান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: যৌথভাবে সাত্তার, নিয়তি ও ফারজানা সান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান: মানিক, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরাদের দেওয়া হচ্ছে এই পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন বলে জানা গেছে।