জয়া বলেছেন, ‘কলকাতায় বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদযাপিত হয় তা জানা ছিল না আমার। তবে বাংলাদেশে এটি কলকাতার দুর্গাপূজা উৎসবের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটের মঙ্গল শোভাযাত্রা এমন এক আয়োজন যা একবার হলেও সবার দেখা দরকার। আমি মনে করি, পৃথিবীর আর কোথাও এভাবে নববর্ষ পালন করা হয় না যেখানে প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপনই প্রমাণ করে আমরা কতটা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ।’
প্রতি নববর্ষে শাড়ি থেকে শুরু করে, মসলা, মিষ্টি, ইলিশ মাছসহ অনেক উপহার পান জয়া। তবে এবার নিজের হাতে তা নিতে পারেননি। যদিও সব উপহার গুছিয়ে রাখতে ঢাকার বাসায় গৃহকর্মীকে ঠিকই বলে রেখেছেন।
নববর্ষে প্রত্যেকেরই তিন-চারটি নিমন্ত্রণ থাকে বলেও জানিয়েছেন জয়া। এছাড়া ঘরে বৈশাখী আড্ডা তো হয়ই। তিনি বলেন, ‘আমার মা ছিলেন পাকা রাঁধুনি। তার রান্না করা তাজা শাকসবজির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মাছ ও মাংস অতুলনীয়। ভর্তা ও পান্তা ভাত নববর্ষে আমাদের রেসিপির বিশেষ পদ। এছাড়া বিরিয়ানি, পোলাও, ইলিশ ভাজা ও সর্ষে ইলিশ তো থাকেই।’
জয়ার ভাষ্য, ‘বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখের খাবারে মাটন রেজালা চেনা পদ। এই মেন্যুতে মা কাঁচা মরিচের দইসহ বিশেষ কিছু মসলা ব্যবহার করেন। তিনি কচুরলতি, শুঁটকি, সবজি, মাছসহ ২০ পদের খাবার তৈরি করেন। তার রসুন ভর্তা ও মুরগির মাংস দিয়ে টমেটো পোলাও দারুণ সুস্বাদু। মায়ের রান্না করা বিরিয়ানিও অনবদ্য। পহেলা বৈশাখে মাটির পাত্রে খাবার পরিবেশন আমাদের বাড়িতে আবশ্যকীয়।’
এদিকে বাংলাদেশে জয়ার নতুন ছবি ‘দেবী’র আরেকটি পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। রবিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নিজের ফেসবুক পেজে এটি শেয়ার করেন তিনি। এর ক্যাপশনে লেখা, ‘চলুন রানুর রহস্যময় জগতে।’ ছবিটিতে রানু চরিত্রেই দেখা যাবে তাকে। পোস্টারে লাল অক্ষরে উল্লেখ রয়েছে, ‘সবই কি রানুর মনগড়া?’ উত্তর মিলবে রবিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায়। তখন প্রকাশ হবে টিজার।
হুমায়ূন আহমেদের কাহিনি অবলম্বনে অনম বিশ্বাসের পরিচালনায় ছবিটিতে মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এর আগে তার ছবি দিয়ে সাজানো একটি পোস্টার প্রকাশিত হয়। ছবিটিতে আরও আছেন শবনম ফারিয়া, ইরেশ যাকের প্রমুখ। ‘দেবী’ জয়া আহসানের প্রথম প্রযোজনা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ফেসবুক