তবে বর্তমান জনপ্রিয়তা তৈরি হওয়ার আগেই তিনি ভালোবেসে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রেমিক ফারজানুল হকের সঙ্গে। তিনি পেশায় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ম্যানেজার। পারিবারিকভাবে তাদের এই বিয়ে সম্পন্ন হয় ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। যদিও সেই খবর তারা প্রকাশ করেন পরের বছর (২০১৫) বিশ্ব ভালোবাসার দিনে (১৪ ফেব্রুয়ারি)। বিয়ের পরপরই ভালোবাসায় মোড়ানো সেই সংসার আলো করে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান।
মাত্র ৪ বছরের মাথায় সেই সংসার ভেঙে যাওয়ার খবর তিশা নিজেই জানালেন আজ (২২ জুন)। তিনি জানান, ২১ মে ফারজানুল হকের সঙ্গে বিচ্ছেদের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
নিজের সংসার ভাঙনের কথা স্বীকার করে তাসনুভা তিশা আজ (২২ জুন) রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘অনেকেই আমার কাছে জানতে চাইছে এবার ঈদে কেন আমার এতো কম কাজ। তো সবাইকে আমি কিছু সত্য বিষয় জানাতে চাই। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের ডিভোর্সের লিগ্যাল ফরমালিটিজ শেষ হয়েছে। এবং গত ছয় মাস যাবত আমি প্রচণ্ড মানসিক কষ্টের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। ইনফ্যাক্ট আমি কয়েকমাস আগে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং হসপিটালাইজড হই। আর এ সমস্ত সিচুয়েশনের জন্য অনেক কাজ করতে পারিনি। কারও সঙ্গে কন্টাক্টও করতে পারিনি। কষ্টের বিষয় হচ্ছে আমার এই দুরবস্থার কারণ একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে সেটাকে নিয়ে নিজেদের মতো মিসইন্টারপ্রিট করেছে। আমার ডিভোর্সের কারণ একেবারেই আমাদের নিজস্ব কিছু ইস্যুজ।’
প্রসঙ্গত, ফারজানুল হকের সঙ্গে তিশার এটি ছিলো দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের ঘরে তাসনুভা তিশার এক কন্যা সন্তান আছে।