এতিমরা খাবে হ‌ুমায়ূন আহমেদের প্রিয় খাবার

নুহাশ পল্লীতে গত বছরের আয়োজনআজ (১৯ জুলাই) নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হ‌ুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

বরাবরের মতো এবারও হ‌ুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে প্রিয় স্থান ঢাকার অদূরে গাজীপুর নুহাশপল্লীতে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় একই আয়োজন থাকছে তাঁর জন্মস্থান নেত্রকোনায় প্রতিষ্ঠিত স্কুল ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’-এ।

প্রয়াতের স্ত্রী অভিনেত্রী-নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান বিষয়টি।

নুহাশপল্লীতে আয়োজিত আজকের দোয়া-মাহফিলে অংশ নিচ্ছে গাজীপুর এলাকার এতিমখানার অসংখ্য শিশু-কিশোর। শাওনের ভাষায়, ‌‌‘৬ বছর হতে চললো প্রিয় হ‌ুমায়ূন আহমেদ না ফেরার দেশে আছেন। ১৯ জুলাই ২০১২ সালের পর এমন একটি দিনও যায়নি যেদিন আপনি, আমি কোনও না কোনোভাবে এই মানুষটাকে স্মরণ করিনি। তাঁর বিদায়ের দিন উপলক্ষে এবারও নূহাশপল্লীতে আমরা কোরানখানি এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছি। আমাদের সঙ্গে থাকছে গাজীপুর এলাকার কয়েকটি এতিমখানার শিশুরা। বাদ জোহর দোয়া মাহফিলের পর আমরা হ‌ুমায়ূনকে স্মরণ করবো এবং সব শিশুকে নিয়ে তাঁর প্রিয় খাবার উপভোগ করবো। আমার বিশ্বাস, ওপার থেকে এই দৃশ্য দেখে তিনি (হ‌ুমায়ূন আহমেদ) হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।’

দূরে কোথাও হ‌ুমায়ূন আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওনশাওন আরও বললেন, ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদ তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে যখন দোয়ার আয়োজন করতেন তখন সবসময় নিজের প্রিয় খাবার এতিমদের নিজ হাতে বেড়ে খাওয়াতেন। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে সেই কাজটি আমি করার চেষ্টা করছি। এবারও তা করতে চাই।’

তিনি জানান, এদিন খাবার মেন্যুতে থাকছে হ‌ুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার সাদা ভাত, গরুর মাংস, মাসকলাই ডাল, সবজি ও পায়েস।

এই স্মরণ অনুষ্ঠানে হ‌ুমায়ূন আহমেদের বন্ধু, স্বজন, ভক্ত এবং সমালোচকদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন শাওন।