‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রের মহরত ১৬ সেপ্টেম্বর

অপারেশন জ্যাকপট (ছবি- সংগৃহীত)মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মহান মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডোদের অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঐতিহাসিক ঘটনার এই সিনেমা পরিচালনা করবেন ‘মনপুরা’ ও ‘স্বপ্নজাল’র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এরই মধ্যে সিনেমাটি নির্মাণের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ‘অপারেশন জ্যাকপট’র মহরত।

রবিবার (৫ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাফর আলম ও চলচ্চিত্রটির পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ‘অপারেশন জ্যাকপট’ অভিযানের উদ্দেশ ছিল দেশের সমুদ্র ও নদীবন্দরগুলো অকার্যকর করে দেওয়া, যাতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা সমুদ্র ও নৌপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) সহজে আক্রমণ করতে না পারে। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোরা স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে প্রচারিত গানের সংকেত পেয়ে ১৯৭১ সালের ১৪ আগস্ট দিনগত রাতে (১৫ আগস্ট, রাত ১টা থেকে দেড়টা) একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর নদীবন্দর আক্রমণ করেন। এ অভিযানের ফলে পশ্চিম পাকিস্তানিরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের গতি বৃদ্ধি পায়। মুক্তিযোদ্ধারা আরও সাহসী ভূমিকা পালন করেন। এতে পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পশ্চিম পাকিস্তানিদের অত্যাচারের কথা জানতে পারে।