রবিবার (৫ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাফর আলম ও চলচ্চিত্রটির পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ‘অপারেশন জ্যাকপট’ অভিযানের উদ্দেশ ছিল দেশের সমুদ্র ও নদীবন্দরগুলো অকার্যকর করে দেওয়া, যাতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা সমুদ্র ও নৌপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) সহজে আক্রমণ করতে না পারে। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোরা স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে প্রচারিত গানের সংকেত পেয়ে ১৯৭১ সালের ১৪ আগস্ট দিনগত রাতে (১৫ আগস্ট, রাত ১টা থেকে দেড়টা) একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর নদীবন্দর আক্রমণ করেন। এ অভিযানের ফলে পশ্চিম পাকিস্তানিরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের গতি বৃদ্ধি পায়। মুক্তিযোদ্ধারা আরও সাহসী ভূমিকা পালন করেন। এতে পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পশ্চিম পাকিস্তানিদের অত্যাচারের কথা জানতে পারে।