উৎসবে এবার যুক্ত হয়েছে ‘শর্টফিল্ম অন রিফিউজি’ শীর্ষক নতুন একটি ক্যাটাগরি। এতে দেশ ছাড়াও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন। রাজধানীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে উৎসবটি চলবে আগামীকাল পর্যন্ত।
আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ জানায়, দুই দিনের প্রদর্শনীতে প্রতিদিন দুটি করে সেশন থাকবে এবং শেষ দিন একটি সেশনে শরণার্থীদের ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে। সময়সূচির মধ্যে আজ দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা ও বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। এছাড়া শরণার্থীদের নিয়ে বিশেষ সেশনটি হবে আগামীকাল বিকাল সাড়ে ৪টায়। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর নির্মিত ছবিও প্রদর্শিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি মীর রেজওয়ান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আগ্রহী তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে কাজ করে থাকি। এবারের আয়োজনেও নতুন নির্মাতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
এর আগে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য ‘টেক ইউর ক্যামেরা, ফ্রেম ইউর ড্রিম’ শিরোনামে চলচ্চিত্র আহ্বান করা হয়। এতে তারা কম্পিটিশন ও প্যানোরমা বিভাগে তাদের সিনেমা জমা দেন।
প্রতিযোগিতা বিভাগের নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে সেরা সিনেমা পাবে ‘জহির রায়হান শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার’ এবং শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি পরিচালক পাবেন ‘তারেক মাসুদ সেরা উদীয়মান পরিচালক পুরস্কার’। দুটি পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে থাকবে ৩০০ ও ২০০ মার্কিন ডলারের প্রাইজমানি। এছাড়াও সেরা ৩০ জন পাবেন একটি ‘ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস’ আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ। যেখানে দেশ ও দেশের বাইরের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা থাকবেন আলোচক ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এর বাইরেও সেরা ৫০টি চলচ্চিত্র বাছাই করে সেগুলো প্রদর্শন করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদেশি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, টেলিভিশন চ্যানেল, সিনেপ্লেক্স ও উন্মুক্ত প্রদর্শনীতে।