হরিহরণের জন্য গান লিখলেন জুলফিকার রাসেল

হরিহরণ অনান্থ সুব্রামানির বাসায় জুলফিকার রাসেলহরিহরণ অনান্থ সুব্রামানি! নামটাই যেন বিশেষণ! ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত জাদুকর এবার গাইলেন বাংলাদেশের গীতিকবি জুলফিকার রাসেলের কথায়! সুর ও সংগীত করেছেন কলকাতার প্রশংসিত সংগীত পরিচালক টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলি। গানের শিরোনাম ‘পিয়া বাওরি’।

হ্যাঁ, গানটি হবে হিন্দিতে। এর কারণ হিসেবে বাংলা গানের জনপ্রিয় এই গীতিকবি বলেন, ‌‘উনার (হরিহরণ) কণ্ঠে আমার লেখা একটা গান থাকবে, এরকম স্বপ্ন দেখার আগে অনেক কিছু ভাবতে হয়! এমন ব্যক্তিত্বের কাছে যাওয়ার আগে নিজেকে তৈরি হতে হয়! ভেবে ভেবে অবশেষে স্বপ্নটা দেখেই ফেললাম! ইচ্ছে ছিল কাজটা করবো বাংলা ভাষায়! কারণ, আমি বাংলায় গান লিখি! হিন্দি বুঝি এবং মোটামুটি বলতে পারলেও লেখা আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ছিল! ২/৩ বছর আগে বন্ধু মিউজিক কম্পোজার টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলিকে ইচ্ছের কথা জানাতেই সেও এক্সাইটেড! সে বললো, ‘‘বন্ধু, হরিজি'র গান করবো! করলে হিন্দিতেই করা উচিত, তবেই না শতকোটি মানুষের গান হবে!’ টুনাই আরও কিছু যুক্তি দিলো! আমার যথাযথ মনে হলো! তাই এটি হিন্দিতে তৈরি হয়েছে।’’
গত ২৭ আগস্ট মুম্বাইয়ে গানটির রেকর্ডিংয়ে অংশ নেন হরিহরণ।
নতুন এ কাজটি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথাও বলেন উপমহাদেশখ্যাত এ শিল্পী। গানের কথা ও সুর নিয়ে সন্তুষ্টি শোনা গেল তার কাছে। ভাষ্যটি এমন, ‘খুব সুন্দর একটা গান। বিউটিফুল কম্পোজিশন। জুলফিকার যেমন চমৎকার লিখেছেন তেমনই চমৎকার সুর দিয়েছেন টুনাই। খুব মেলোডিয়াস। খুব ভালো কাজ করেছেন দুজনই। আর আমার গাইতেও ভীষণ ভালো লেগেছে।’টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলি ও হরিহরণ
গানটির রেকর্ডিং প্রসঙ্গে জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী কণ্ঠ দেওয়ার কথা ২৮ আগস্ট! কিন্তু ২৭ তারিখ তিনি তার স্টুডিওতে (মুম্বাই) গিয়ে গানটা আবার শোনেন! রেকর্ডিস্টকে বলেন, তখনই কণ্ঠ দেবেন! আমরা তখন চেন্নাইতে, অন্য গানের কাজে! হরিজি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে কণ্ঠ দিলেন! আমার লিরিকে ব্যাকরণজনিত ২/১টা ভুল ছিল! সেগুলো শুধরে দিলেন! গাওয়ার পর ঠিক আছে কিনা জানতে অনলাইনে গানটা পাঠালেন! আমরা সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি!’জুলফিকার রাসেল ও হরিহরণ অনান্থ সুব্রামানি
‘পিয়া বাওরি’ গানটি প্রকাশের পরিকল্পনাও ইতোমধ্যে শেষ। জানালেন, আগামী ডিসেম্বরে এটি রিলিজ হতে পারে।