এর নাম ‘সুনাদ’। ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বরের এ আয়োজনটি চলে ছায়ানট মিলনায়তনে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় এর উদ্বোধন হয়। শেষ হয় মঙ্গলবার রাত ৮টায়।
প্রথমদিন শিল্পীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের।
তিনি বলেন, ‘যে আশা নিয়ে আমরা বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব শুরু করেছিলাম তারই প্রতিফলন এই বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়; যা গত ৪ বছর ধরে চলছে। এরই মধ্যে আমাদের ২ জন শিক্ষার্থী ভারতে পরিবেশন করে এসেছে। আমরা আনন্দিত এবং আশা করছি এই ধারাবাহিকতা সামনে আরও অব্যাহত থাকবে।’
এদিন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী ইশরা ফুলঝুরি খান, ইলহাম ফুলঝুরি খান, সাদ্দাম হোসেন ও আরেফিন রনি দলীয় সরোদ বাদনের মাধ্যমে প্রথম পরিবেশনা করেন রাগ ভূপাল।
এরপর রাগ-শ্রী (খেয়াল) পরিবেশন করেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, তবলায় ছিলেন প্রশান্ত ভৌমিক, হারমোনিয়ামে আলমগীর পারভেজ সুমন এবং তানপুরায় ছিলেন সুপ্রিয়া দাস ও সুস্মিতা বেনাথ।
পরবর্তী পরিবেশনা তবলা লহরার জন্য মঞ্চে ওঠেন সুপান্থ মজুমদার। প্রথম দিনের সর্বশেষ পরিবেশন রাগ-রাগেশ্রী (খেয়াল) করলেন অতিথি শিল্পী অলোক সেন।
দলীয় সেতার রাগ-বেহাগ বাদনের মাধ্যমে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরু করেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ মণ্ডল, জ্যোতি ব্যানার্জি, জাহাঙ্গীর আলম শ্রাবণ, মোহাম্মদ কাওসার, সোহিনী মজুমদার, সামিন ইয়াসার ইফতি ও সুব্রত বিশ্বাস। তাদের সাথে তবলায় ছিলেন প্রশান্ত ভৌমিক ও সুপান্থ মজুমদার।
এরপরেই কানিজ হুসনা আহম্মাদী পরিবেশন করেন রাগ- মুলতানি। ধ্রুপদ রাগ- ছায়ানট পরিবেশন করেন অভিজিৎ কুণ্ড ও টিংকু শীল।
এরপরের পরিবেশনা ছিল দলীয় এসরাজ রাগ ইমন। যা পরিবেশন করেন সৈয়দা রায়হান, মোঃ রায়হানুল আমিন, রণজিৎ রায়, শুক্লা হালদার, ইসমাত আরা রুচি, শৌণক দেবনাথ ঋক, সৌমিত রায়, গৌরাঙ্গ কৃষ্ণ এবং এসরাজের শিক্ষাগুরু দেবাশীষ হালদার।
উচ্চাঙ্গসংগীত আসর ‘সুনাদ’ এর শেষ দিনের সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল এসরাজ শিক্ষক শ্রী দেবাশীষ হালদারের একক পরিবেশনা রাগ আভোগী। সাথে তবলায় ছিলেন সুপান্থ মজুমদার।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন জানায়, নিয়মিতই এমন আয়োজন তারা করবে।