কারণ, আইয়ুব বাচ্চু আগেই বলে গিয়েছেন- শেষ বিদায়ে তিনি ফিরতে চান জন্মস্থান চট্টগ্রামে, মায়ের কোলে। পরিবারের পক্ষ থেকে সেই সিদ্ধান্তই অটল। ফলে নিজের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে বরণ করে নিতে অপেক্ষার প্রহার গুনছেন চট্টগ্রামবাসী। এদিকে ঢাকায় আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার অন্যরকম অপেক্ষায় আছেন। যে অপেক্ষার সূত্র ধরেই আজও দিনভর মানুষের ঢল পেরিয়ে সন্ধ্যার আগে আগে আইয়ুব বাচ্চুর নিথর দেহটি যত্নে তুলে রাখা হয়েছে রাজধানীর একটি হিমঘরে।
তার পৌঁছানোর খানিক বাদেই মরদেহ নিয়ে পরিবার-স্বজনরা ছুটবেন ঢাকা-চট্টগ্রামের হাইওয়ে ধরে। ঠিকানা, এনায়েত বাজারের চৈতন্য গলিতে।
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘প্রয়াত সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর সাথে মেয়র মহোদয়ের সখ্য ছিল। তাই তিনি এই রকস্টারের দাফন কার্যক্রম করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার, তার ভাই ও মামা এতে সম্মতি দিয়েছেন।
জানাজার পর নগরীর চৈতন্য গলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে আইয়ুব বাচ্চুকে সমাহিত করা হবে।’
প্রতিনিধি আরও জানান, শনিবার (২০ অক্টোবর) সকালে আইয়ুব বাচ্চু মরদেহ চট্টগ্রামে নিয়ে আসার পর নগরীর মাদার বাড়িতে তার নানাবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বেলা ৩টার দিকে মরদেহ নেওয়া হবে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে।
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক করেন গিটার লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।