বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে দিনে ১০টি করে শো বরাদ্দ থাকলেও দর্শক চাপে বৃদ্ধি করা হয়েছে আরও দুটি। তবুও চলছে টিকিটের জন্য হাহাকার! আর এই চিত্রগুলো মুক্তির প্রথম দিন (১৯ অক্টোবর) ঢাকার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে উপচেপড়া জনতার ভিড় ঠেলে দেখে এসেছেন ‘দেবী’র নায়ক-নায়িকা, পরিচালক-প্রযোজকরা।
কিন্তু ঢাকার বাইরের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ‘দেবী’র কী অবস্থা? দৃশ্যগুলো নিজেদের চোখে দেখতেই ‘দেবী’ টিম সকাল থেকে ছুটেছে ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে।
আজ ২০ (অক্টোবর) তারা গেছেন জয়দেবপুর, টঙ্গী ও ময়মনসিংহ।
বেলা তিনটায় তারা টঙ্গীর চম্পাকলি হলে যান। জয়া দর্শকের উদ্দেশে সেখানে বলেন, ‘‘আপনারা তো অনেক ধরনের ছবি দেখেন। ‘দেবী’ও অন্যরকম একটা ছবি। আর এটা আমার প্রযোজিত প্রথম ছবি। আপনারা সবাই বাড়ি গিয়ে এ কথাটা বলবেন। যেন তারা আমার জন্য হলেও ছবিটি দেখে।’’
টঙ্গীর এই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে জয়া দেখা পান এক বছর বয়সী এক বাচ্চার! নাম গ্রহ। যে কিনা বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছে ‘দেবী’ দেখার জন্য! জয়া সেই বাচ্চাকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। কোলে তুলে নেন। আর বলেন, ‘ও হচ্ছে আমার সিনেমার সবচেয়ে জুনিয়র দর্শক। ওর জন্য অনেক অনেক আদর।’
এদিকে চলচ্চিত্রটির বিপণন কর্মকর্তা রুম্মান রশীদ খান সন্ধ্যার দিকে বলেন, ‘আজ আমরা আরও দুটি হলে যাচ্ছি। এখন (সন্ধ্যা ৬টা) আছি ময়মনসিংহের ছায়াবাণী প্রেক্ষাগৃহের পথে। ফেরার সময় যাবো জয়দেবপুরের বর্ষায়। আগামীকালও বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে আমাদের যাওয়ার ইচ্ছে। তবে হলগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
তিনি আরও জানান, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী খানিক অসুস্থ বোধ করায় আজকের সফরে তিনি থাকতে পারেননি।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘দেবী’ অবলম্বনে এই ছবিতে মিসির আলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী আর রানু চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। আরও অভিনয় করেছেন অনিমেষ আইচ, ইরেশ যাকের, শবনম ফারিয়া প্রমুখ।
সরকারি অনুদান ও সি-তে সিনেমার যৌথ প্রযোজনার ছবিটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস।