আর কিছুই হয়নি। শুধু হয়েছে দফায় দফায় নিবন্ধনের নতুন তারিখ ঘোষণা। তবে শেষ অবধি এ বছর এই অনুষ্ঠান হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
প্রতিযোগিতা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একাধিক ব্যক্তি এটি নিয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন, এ বছর আয়োজনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে সামনে এসেছে জাতীয় নির্বাচন ও প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন।
এরমধ্যে চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচন নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরে হওয়ার কথা। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনও হওয়ার কথা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে।
এদিকে নিবন্ধন নিয়ে বারবারই নতুন দিনক্ষণের কথা বলে আসছেন চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। এর আগে জানিয়েছিলেন, অডিশন শুরু হবে চলতি বছর। তবে এখন তিনি সেই অবস্থানে নেই।
তার মতে, নিবন্ধন শুরু হলেও চলতি বছরে অডিশন নেওয়া সম্ভব হবে না। বললেন, ‘ওয়েবসাইট জটিলতার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। খুব শিগগিরই হয়তো নিবন্ধন শুরু করতে পারব। তবে অডিশন এ বছর হবে না।’
আয়োজকদের সূত্রে আরও দু-একজন বলছেন, নভেম্বর মাসে পরিচালক সমিতি নিজেদের নির্বাচন নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় কাটাবে। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের অনিশ্চয়তাও তৈরি হতে পারে। পুরো দেশই এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তাই এ সময় প্রতিযোগিতাটির কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে না।
টানা ২৭ বছর পর আবারও শুরু হওয়ার কথা ছিল ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ নামে চলচ্চিত্র শিল্পী অন্বেষণের প্রতিযোগিতা। তাই চলতি বছর থেকেই নবীনদের কাছে অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত হয়ে এসেছে এই আয়োজন। সময় গড়িয়ে এটি সেপ্টেম্বর মাসে এসে ঠেকে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এর উদ্বোধন হয়। সেখানেই প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক যাত্রায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। কিন্তু তখন নতুনদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি নিবন্ধনের পেজটি। জানানো হয়েছিল, ১৮ সেপ্টেম্বর এটি সম্ভব হবে। কিন্তু তাও হয়নি। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর। হলো না। বলা হলো অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ, দ্বিতীয় সপ্তাহে—এভাবে বারবার পেছানো হয়েছে নিবন্ধনের দিনক্ষণ। যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এবার নায়ক নায়িকার পাশাপাশি মোট সাতটি ক্যাটাগরিতে প্রতিভা খুঁজে বের করার কথা ছিল। ক্যাটাগরিগুলো হলো সেরা নায়ক, সেরা নায়িকা, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা খলনায়ক, সেরা কমেডিয়ান ও সেরা শিশুশিল্পী।
‘নতুন মুখের সন্ধানে’ এর আগে ১৯৮৪, ১৯৮৮ ও ১৯৯০ সালে বিএফডিসি আয়োজন করেছিল। এর মাধ্যমেই পর্দায় এসে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না। এছাড়া অন্যান্য বছরে এসেছেন দিতি, সোহেল চৌধুরী, মিশা সওদাগর, অমিত হাসান, আমিন খানের মতো তারকারা।