প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে ফকির নহির শাহ

ফকির নহির শাহফকির নহির শাহ; বাংলাদেশের একজন প্রবীণ সাধক ও লালনভক্ত। লালন সাঁইজির সাথে তার উত্তরাধিকার সম্পর্ক লতিকার পর্যায়ক্রমটা এরকম- ফকির লালন শাহ, ভোলাই শাহ, কোকিল শাহ, লবান শাহ ওরফে আব্দুর রব শাহ, তারপরেই ফকির নহির শাহ।
আব্দুর রব শাহ’র প্রধান খলিফা ফকির নহির একাধারে আধ্যাত্মিক গুরু, ভাবসংগীত শিক্ষক ও সংগীত সংগ্রাহক। ১৯৭১ সালে তিনি দেশের প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। ১৯৭৪ সালে গুরুবাক্য গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৪ সালে কুষ্টিয়ার প্রাগপুরে ‘হেম আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করে আধ্যাত্মিক সাধনায় মগ্ন হন। ইতোপূর্বে তাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভুবন মাঝি’। আর এবার তার জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত হলো প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘সহজ মানুষ’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অর্থায়নে এবং একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন আবীর শ্রেষ্ঠ।
পরিচালক বললেন, ‘সাধক ও লালনভক্ত এই বর্ষীয়ান মানুষটিকেই স্বল্পদৈর্ঘ্যে তুলে ধরার প্রয়াস আমাদের। আর এটি করা হয়েছে দেশের মানুষের জন্য।’
পরিচালক জানান, ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে এটি দেখানো হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এটি প্রদর্শিত হবে। আয়োজনটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।