বিজয়ী হওয়ার পর সালমান আলি বলেছেন, ‘দর্শক-শ্রোতা ও বিচারকদের ধন্যবাদ জানাই। আমার গ্রামের সবাই খুব খুশি। অনেক ফোন কল পাচ্ছি।’
অথচ একটা সময় বিয়েতে গান গেয়ে সালমান আলির পরিবার জীবিকা নির্বাহ করতো। পরিবারকে এবার দারিদ্র্যমুক্ত করতে চান ২০ বছর বয়সী এই তরুণ।
সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় সংগীত প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার সুবাদে সালমান আলির হাতে এসেছে ২৫ লাখ রুপি। এই টাকা দিয়ে কী করতে চান তিনি? তার উত্তর, ‘আমি খুব দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠেছি। আমাদের বাড়ির অবকাঠামোর বেহাল দশা। ছাদ সংস্কার করা খুব প্রয়োজন। আমরা ঋণও নিয়েছি। পুরস্কারের টাকা দিয়ে বাড়ি সংস্কার ও ঋণ শোধ করবো।’
‘ইন্ডিয়ান আইডল টেন’-এর আগে আরেকটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন সালমান আলি। নিজের সংগীতচর্চা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। আমাদের পরিবার বিয়ের অনুষ্ঠান গান গেয়ে রোজগার করতো। মাত্র সাত বছর বয়স থেকে আমিও তাদের সঙ্গে সংগীত পরিবেশন করছি।’
কখনও সুযোগ পেলে সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তা করতে চান বলেও জানিয়েছেন সালমান আলি।
ভারতের সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। ট্রফি আর নগদ টাকা ছাড়াও তিনি পেয়েছেন একটি নতুন গাড়ি।