নতুন সরকারের কাছে তারকাদের কিছু প্রত্যাশা থাকা দরকার। একইভাবে শিল্পী হিসেবে তাদের ভক্তদের কাছেও নতুন বছরের একটা ইশতেহার দেওয়া দরকার। দুটো বিষয় নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন আলাপ করার চেষ্টা করেছে অনেকের সঙ্গে। অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ‘নতুন’ দুই ইস্যুকে সামনে রেখে নিজের ‘প্রত্যাশা’ ও ‘ইশতেহার’ তুলে ধরেছেন এইভাবে-
কারণ, বিদেশের চেয়ে আমাদের কনটেন্ট অনেক ভালো। এইটুকু কনফিডেন্ট আমার আছে। হ্যাঁ, আমাদের অনেক লিমিটেশনস আছে। যেমন অনেক অ্যাড দেখাই, সিরিয়ালে ধারাবাহিকতা রাখতে পারি না। এর কারণ, দর্শক দেখে না, তাই। তারা দেখলেই আমাদের কাজের মান ও বাজেট দুটোই বাড়বে।
বরাবরের মতো এই বছরটাও চেষ্টা করবো, ভালো ভালো গল্পে কাজ করার। ভালো দুই একটা সিনেমা করার খুব ইচ্ছে। আর ব্যক্তিজীবনে এই বছরে আমি সংসারটাও গুছিয়ে নিতে চাই মনের মতো করে।
আর নতুন সরকারের কাছে আমার অনেক দাবি, অনেক প্রত্যাশা। কারণ আমরা এই সরকারকে পছন্দ করি বলেই গত ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, আগামী পাঁচ বছরও থাকবে। গতকালও ভোট দিয়ে এসেছি। এটা আমার প্রথম ভোটাধিকার ছিল। তাই এই সরকারের প্রতি অনেক এক্সপেকটেশন। অনেক উন্নয়ন হয়েছে এরমধ্যে। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি।আমি চাই উন্নয়ন খাতের অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত শেষ হোক।
মানুষ যেহেতু এই আওয়ামী লীগকে নিয়মিত ভোট দিচ্ছে, সেই হিসেবে এই দলটির কাছে আমাদের (জনগণের) অনেক দাবি, অনেক প্রত্যাশা! তাই সরকার কিছু খারাপ করলে সেটার সমালোচনাও আমি এবং আমরা করতে চাই। যেমন যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়- তো সেটার জন্য অবশ্যই সরকারের সমালোচনা করবো।
সমালোচনার অর্থ এই না, সরকারকে পছন্দ করি না। স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে সমালোচনা করবোই। এই সুযোগটা থাকা দরকার। সেটাকে নেগেটিভলি নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, আমি এই সরকারকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি।
যেমন, আমার দেশে সরকারের সমালোচনা করলে কেউ কেউ বলে- তুই রাজাকার! অথবা গুম-খুনের ভীতি দেখায় কেউ কেউ। এই ভীতিটুকু যেন সাধারণ মানুষের মনে না থাকে- এটা আমার প্রথম ও প্রধান চাওয়া সরকারের কাছে। আমরা যেন ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ বলতে পারি- সেই পরিবেশ প্রত্যাশা করি এবারের সরকারের কাছে।
আর আমাদের সিনেমা হলের যে নাজুক অবস্থা- এদিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। খেলার মাঠ দরকার। আমি মাঠে খেলেছি কিন্তু আমার ভাইগ্না-ভাগ্নিরা খেলতে পারে না। এই বিষয়গুলোর দিকেও এই সরকার একটু খেয়াল রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।