বিষয়টি নিয়ে আজ (২ ফেব্রুয়ারি) প্রযোজকদের সঙ্গে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ বিএফডিসির বার্ষিক সভাতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে তারও আগে সমিতির গঠনতন্ত্রে চালাতে হবে কাঁচি, আনতে হবে বড় ধরনের পরিবর্তন!
আজকের (২ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক-প্রযোজক-পরিচালক আলমগীর, প্রযোজক খোরশেদুল আলম খসরু, দেলোয়ার হোসেন দিলু, মোহাম্মদ ইকবালসহ অনেকে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) অন্তর্ভুক্ত সংগঠন।
দ্বন্দ্বের শুরু হয় প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৯ (গ) ধারা নিয়ে। ধারায় আছে, একটানা তিনবার নির্বাচিত প্রার্থীরা এক মেয়াদ বাদ দিয়ে আবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
খোরশেদ আলম খসরু, শামসুল আলম, শরিফুদ্দীন খান দীপু ও মনতাজুর রহমান আকবর পরপর তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪-১৬ মেয়াদের নির্বাচন আয়োজনের শুরুতেই নির্বাচন বোর্ড এ নিয়ম অনুযায়ী চার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়।
এছাড়া ৪ বছর সংগঠন থেকে দূরে থাকলে সদস্য থেকে সহযোগী সদস্যতে নেমে আসার নিয়ম নিয়েও জটিলতা শুরু হয় একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়ে।
এদিকে এফবিসিসিআই থেকে জানানো হয়েছে, বিএফডিসির বার্ষিক সভাতে অনুমোদন হলে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নির্বাচন সম্ভব। তাই আগামী সভার ওপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের সবকিছু।
বিষয়টি নিয়ে প্রযোজক নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুই পক্ষই একমত হয়েছেন, নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনে নির্বাচন করার। আমরা কিছু খসড়া প্রস্তাবনা বিএফডিসিতে দেব। এগুলো সরকারিভাবে পাশ হয়ে এলে নির্বাচন সম্ভব।’
জানা যায়, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে খসড়া জমা দেওয়া হবে এফডিসিতে। আর ১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সভাতে নির্বাচনের তারিখ ও কমিশন ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় হিসেবে মে-জুন মাসের কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দীর্ঘদিন সমিতির নির্বাচন আটকে রেখে নতুন করে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনাটাকে ভালো দৃষ্টিতে দেখছেন না অনেক সদস্যই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বললেন, ‘গঠনতন্ত্রে এই পরিবর্তন আনা খুবই বিব্রতকর বিষয়। এটা হাতেগোনা কয়েকজন নেতার স্বার্থরক্ষার জন্যই করা হচ্ছে। যারা সারাজীবন নির্বাচনই করতে চান, ক্ষমতায় আটকে থাকতে চান। সমিতি অথবা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এই পরিবর্তন কোনও কাজেই আসবে না।’