সেরা ছবির পুরস্কার ইরানের ঘরে

মোবাইলউৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো দুই দিনব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের।
এবারের আসরে প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিলো ইরানের সালেহ কাশেফি নির্মিত ‘এ পেয়ার অব হর্নস অন এ ফিমেল হোমো সেপিয়েন্স’ ছবিটি। এছাড়া ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয় সুইডিশ ফিল্ম ‘হান্ডসফ্রি’।   
মোবাইল১১৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়।
সালেহ কাশেফি একজন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার নির্মিত ১০ মিনিটের এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে মূলত ইরানে নারীদের সামাজিক অবস্থান ও বৈষম্যকে তুলে ধরেছে।
উৎসবের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চিত্রপরিচালক মতিন রহমান। তিনি বলেন, ‘আগে একটা সময় ছিল যখন একটা চলচ্চিত্র তৈরি করতে অনেক সরঞ্জামের দরকার হতো কিন্তু এখন তার আর প্রয়োজন পড়ে না। এখন সবার হাতেই স্মার্ট ফোন আছে, তাই ইচ্ছা করলে আমরা মোবাইলের মধ্যেই সিনেমা তৈরি করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমার মনে হয় বাংলাদেশের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল ফিল্ম বিষয়ক একটা ক্যাম্পেইন করা উচিত। মোবাইল ফিল্মে কাজ করতে তরুণদের মাথায় অনেক রকমের আইডিয়া আসে। তাই সবার আইডিয়া যদি একত্রিত করে আমরা কাজ করি  তাহলে ইউল্যাবের মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশ ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পরবে।’
১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে এ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এটি ছিল পঞ্চম আসর।
আয়োজকরা জানান, এবারের আসরে বিশ্বের ৩৪টি দেশ থেকে সর্বমোট ৯৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। বিচারকমণ্ডলী ‘কম্পিটিশন’ বিভাগে জমা পড়া ২৮টি চলচ্চিত্র থেকে ১০টি, ‘ওয়ান মিনিট’ ফিল্ম বিভাগের তিনটি চলচ্চিত্র থেকে দুটি এবং ‘স্ক্রিনিং’ বিভাগে জমা পড়া ৬৪টি চলচ্চিত্র থেকে ২৬টি; সর্বমোট ৩৮টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
ইউল্যাবের শিক্ষানবিশ সংগঠন সিনেমাস্কোপ আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল  চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। উৎসবের আয়োজকেরা জানান পরবর্তী বছর উৎসবে  চলচ্চিত্র জমা নেওয়া শুরু হবে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে।