সাভারের সিআরপি হাসপাতালে আলাউদ্দিন আলী

আলাউদ্দিন আলীটানা আড়াই মাস ধরে মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।
গতকাল (৮ এপ্রিল) তাকে নতুন করে সাভারের সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গুণী এ সংগীতজ্ঞের ফিজিওথেরাপি হবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে আলাউদ্দিন আলীর মেয়ে সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উন্নত ফিজিওথেরাপি নিশ্চিত করার জন্য গতকাল বিকাল ৩টায় মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতাল থেকে তাকে সাভারের সিআরপি’তে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, থেরাপি বেশ কিছুদিন ধরে চালাতে হবে। এরপর বাবা বাসায় ফিরতে পারবেন।’
এদিকে জানা যায়, আলাউদ্দিন আলীর শরীরের বাম অংশে সমস্যা থাকায় ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন এই সুরকার ও সংগীত পরিচালক। এরপরও অবস্থার অবনতি হলে টানা ২৬ দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আলাউদ্দিন আলীকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
গতকাল ইউনিভার্সাল হাসপাতাল থেকে বিদায় নেওয়ার সময়উল্লেখ্য, আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সাল থেকে সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ ও ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।
২০১৫ সালের জুন মাসে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কয়েক দফায় ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়েছেন।