সুস্থ হয়ে উঠছেন এটিএম শামসুজ্জামান

এটিএম শামসুজ্জামানবর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা উন্নতির পথে। ফুসফুসের সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ অভিনেতা এখন মুখ দিয়ে খাবার খেতে পারছেন বলে জানালেন তার স্ত্রী রুনি জামান।
১৫ মে দুপুরে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগের চেয়ে উনার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। ফুসফুসের সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে। এখন অল্প করে মুখে খাবার খেতে পারছেন। এভাবে চলতে থাকলে তিনি ভালোভাবেই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি।’
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছেন তিনি। কিংবদন্তি এ অভিনেতাকে ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই হাসপাতালে ২৭ এপ্রিল এই অভিনেতার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
অস্ত্রোপচারের কারণ প্রসঙ্গে অভিনেতার ছেলের স্ত্রী রুবি জামান তখন বলেছিলেন, ‘দীর্ঘদিন উনার (এটিএম শামসুজ্জামান) পেটে খাবার জমা হয়ে শক্ত হয়ে যেত। চিকিৎসকরা বিষয়টি প্রথম দিকে ধরতে পারেননি। ২৬ এপ্রিল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা অসুস্থতার কারণটি ধরতে পারেন। তাই অস্ত্রোপচার করে এগুলো বের করা হয়েছে।’
এরপর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ জানান, সে সময় নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত হন এ অভিনেতা।
৮৮ বছর বয়সী এ অভিনেতা অধ্যাপক ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথমদিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি।
অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আজও তিনি দর্শকের কাছে নন্দিত।