আলাপচারিতার মধ্যেই মনে মনে কষে রাখা অংক কেমন করে যেন মিলে যায় অপরাজিতার। সিদ্ধান্ত নেন তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মিস্টিক মেমোয়্যার’-এর নায়ক হিসেবে প্রস্তাব দেবেন জুবায়েরকে।
বাকিটা শোনা যাক অপরাজিতার কণ্ঠে। কলকাতা থেকে এই নির্মাতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ওর (জুবায়ের জুলহাজ) একটি অনুষ্ঠানে আমি অতিথি হয়ে গিয়েছিলাম। যমুনা টিভিতে। যখন ওকে আমি প্রথম দেখি তখন মনে হয়েছে ওর মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা আছে। এরপর যখন ছবিটির চিত্রনাট্য লিখি তখন জুবায়েরের কথা মাথায় এসেছে। শুধু জুবায়ের না, পাশাপাশি কলকাতারও কয়েকজন অভিনেতার নাম মাথায় ঘুরছিল। তারপর যখন আমি চিত্রনাট্যের চরিত্রটি নিয়ে আরও ভাবতে লাগলাম তখন কেন জানি না জুবায়েরের চেহারাটাই ভাসছিল। এরপর চলতি বছর আবার যখন ঢাকায় যাই, ঠিক করি জুবায়েরই হবে আমার চরিত্র। ইতোমধ্যে আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাই। ওকে সরাসরিই ছবিটির বিষয়ে বলি। সে এক কথাতেই রাজি হয়ে যায়।’
টেলিভিশনের উপস্থাপক জুবায়ের চলচ্চিত্রটির প্রস্তাব লুফে নেন। এরপর চলে চরিত্র ও লুক নিয়ে তাদের নানা আলোচনা। জুবায়ের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গল্পটাই এমন, যাদের চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ আছে তারা এটাকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এই গল্পটা মানুষের স্পর্শের কথা বলবে। তাই ছবিটিতে কাজ করার জন্য রাজি হয়ে যাই। এছাড়া ব্যক্তিগত আরও একটি বিষয় আছে। আমার বাবা চলচ্চিত্রপ্রেমী। চেয়েছিলেন কাজ করতে। তার সেই সত্তাকে আমি আমার মধ্যে ধারণ করতে চেয়েছি।’
হাতে বেশি সময় ছিল না জুবায়েরের। অপরাজিতার কাছ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রস্তাবটি পান তিনি। এরপর এপ্রিলের ৮ তারিখে পাড়ি দেন কলকাতায়। আদাজল খেয়ে নেমে পড়েন দু’দিনের রিহার্সেলে। ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত টানা চলে ছবিটির কাজ।
ছবিটিতে জুবায়ের ছাড়াও কাজ করেছেন নির্মাতা অপরাজিতা, সায়ন্তনীসহ কলকাতার বেশ কয়েকজন শিল্পী।
জুবায়ের জানালেন, পরিচালক চাইছেন ছবিটি দুই বাংলায় মুক্তি দিতে। তবে তার আগে ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে ঘোরার পরিকল্পনা রয়েছে অপরাজিতার।