অ্যাশ যখন এলেন, মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও চালু করে ধরে আছি। তিনি সামনে আসার কিছুক্ষণ পরই নিরাপত্তা কর্মীরা ভিডিও না করার অনুরোধ জানালেন। এক মুহূর্ত বন্ধ রেখে আবারও সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর পিছু নিলাম। তিনি গাড়িতে ওঠা অবধি চিত্রধারণ বন্ধ করিনি।
ঐশ্বরিয়ার সৌন্দর্য পুরোপুরি চোখধাঁধানো। অপূর্ব। যেন স্বর্গ থেকে পাঠানো কোনও দেবী। সামনে থেকে দেখলেই বোঝা যায়, ৪৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী কানের সত্যিকারের ডিভা। দুধসাদা কাঁধখোলা গাউনে তিনি আড়ম্বরপূর্ণ।
সাদা রঙা পালকশোভিত ঝালরের চমৎকার পোশাকটি ডিজাইন করেছে অশি স্টুডিও। এর সঙ্গে সুইস অলঙ্কার প্রতিষ্ঠান আভাকিয়ানের বানানো হীরার কানের দুল ব্যবহার করেছেন অ্যাশ। চুলগুলো খোঁপা করা। চোখে ধোঁয়াটে মেকআপ। ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক। তার ভারী সাজগোজে সিন্ডেরেলার স্পন্দন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল।
ফরাসি উপকূলে চলতে থাকা কান উৎসবের ৭২তম আসরের সপ্তম দিনে (২০ মে) ‘দ্য গুড টাইমস’ ছবির গালা স্ক্রিনিং উপলক্ষে লালগালিচায় পায়চারি করেন অ্যাশ। এদিনও ভক্ত-দর্শকদের উদ্দেশে চুম্বন উড়িয়ে দেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
গত রবিবার সবুজ আবহ মেশানো মেটালিক জ্বলজ্বলে সোনালি ফিশকাট গাউন পরে মৎস্যকন্যা সেজে লালগালিচায় পা মাড়ান অ্যাশ। এটি ডিজাইন করেছেন লেবানিজ ফ্যাশন ডিজাইনার জ্যঁ-লুই সাবাজি। এতে ছিল সাপের চামড়ার আবহ।
সিনেমার বৈশ্বিক এই আয়োজনের লালগালিচায় সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে ঐশ্বরিয়া অন্যতম। ২০০২ সাল থেকে কানসৈকতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তিনি। বিখ্যাত প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান লরিয়াল প্যারিসের দূতিয়ালি করতে প্রতি আসরে যেতে হয় তাকে। এ নিয়ে ১৮বার কানসৈকতে পা পড়লো তার।