তথ্য মন্ত্রণালয়ে চার সভাপতি, উদ্দেশ্য ‘এফটিপিও’

এফটিপিও আন্দোলনের ছবি/ তুলেছেন: সাজ্জাদ হোসেনতিন বছর পর আলোর মুখ দেখছে ‘এফটিপিও’ আন্দোলনে তুলে ধরা দাবিগুলো। বুধবার (২৬ জুন) বিকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে লম্বা বৈঠক শেষে বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই জানালেন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা।
উক্ত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইরেশ যাকের, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু এবং অভিনয় শিল্পীসংঘের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম।

মাসুম রেজা বলেন, “আন্দোলনে উত্থাপন করা আমাদের প্রায় সবক’টি দাবিই মন্ত্রণালয় বেশ গুরুত্ব-সহকারে আমলে নিয়েছে। এরমধ্যে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পাস করার জন্য খসড়া করা হয়েছে। মূলত সেগুলো নিয়েই আজকের বৈঠক হয়েছে। সব বিষয় নিয়ে আমরা সচিব সাহেবের সঙ্গে আবারও আলাপ করেছি। তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আশা করছি শিগগিরই সেগুলো প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পাবে। এটি প্রকাশ পেলে আশা করছি পুরো টিভি ইন্ডাস্ট্রি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।”

মন্ত্রণালয়ে চার সভাপতি২০১৬ সালের নভেম্বরে টিভি অঙ্গনের ১৩টি সংগঠন এক ছাতার নিচে আসে। এর নাম ‘ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অরগানাইজেশন’, সংক্ষেপে এফটিপিও। নাট্যজন মামুনুর রশীদকে আহ্বায়ক ও গাজী রাকায়েতকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করে এই আন্দোলনে মাঠে নামেন দেশের সর্বস্তরের টিভি শিল্পী-কুশলীরা। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় জমায়েত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে, ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর।
এফটিপিও নেতারা সেদিন কণ্ঠে তুলেছিলেন কিছু যৌক্তিক দাবি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—
বেসরকারি চ্যানেলগুলোতে বাংলায় ডাবকৃত বিদেশি সিরিয়াল বা অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করতে হবে।
টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট/এজেন্সির হস্তক্ষেপ ছাড়া চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।
টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এআইটির ন্যূনতম ও যৌক্তিক হার পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
এফটিপিও আন্দোলনের ছবি/ তুলেছেন: সাজ্জাদ হোসেনদেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে।
ডাউনলিংক ফি’তে সমতা আনতে হবে।
দেশের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে প্রচার করা যাবে না, প্রভৃতি।
এসব দাবি নিয়ে আন্দোলন-সভা-সমাবেশ করলেও একই বছরের (২০১৬) ২৭ ডিসেম্বর এক বিবৃতির মাধ্যমে কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় এফটিপিও।
তবে সেই দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য ফের একাট্টা হচ্ছে সংগঠনগুলো। তারই প্রতিচ্ছবি মিলেছে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে চার সভাপতির আজকের (২৬ জুন) হঠাৎ বৈঠকের মাধ্যমে। এমনটাই ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। এফটিপিও আন্দোলনের ছবি/ তুলেছেন: সাজ্জাদ হোসেন