রুম্মান রশীদ খানের লেখা এ নাটকটি পরিচালনা করেছেন সীমান্ত সজল।
এর গল্পে দেখা যাবে, তারিক আনাম খানের চরিত্রটি অ্যাকুয়াফোবিয়ায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির। পানিতে রাজ্যের ভয় তার। কিন্তু কেন পানির সাথে তার বিরোধ, কেন স্বাভাবিক গোসলেও তার অ্যালার্জি- বুঝতে পারে না তার স্ত্রী সুমাইয়া শিমু। দিনের পর দিন স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মানিয়ে চলার সংগ্রাম করে হাঁপিয়ে ওঠে শিমু। জীবনের সবটুকু দিয়ে বুঝতে পারে পানির অপর নাম যেমন জীবন, ঠিক তেমনি পানির অপর নাম মরণও।
‘ওয়াটার’ প্রসঙ্গে অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, মনস্তাত্ত্বিক কিছু ঘটনাগুচ্ছ দিয়ে অন্য ধরনের একটি গল্পের নাটকে কাজ করলাম। দর্শক অসংখ্য নাটকের ভিড়ে ভিন্ন স্বাদের কিছু দেখতে পাবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
তারিক আনাম খানের সাথে অভিনয় প্রসঙ্গে সুমাইয়া শিমু বলেন, ‘‘এর আগে বেশ কিছু নাটকে একসঙ্গে কাজ করলেও জুটি হয়ে কখনো কাজ করা হয়নি। এরকম শক্তিশালী অভিনেতার সাথে পর্দা ভাগ করাটা বরাবরই সম্মানের, সেই সাথে শিক্ষনীয়। ‘ওয়াটার’ নাটকের পাণ্ডুলিপি, পরিচালনা থেকে শুরু করে পুরো টিমের মধ্যে ইতিবাচক একটি মনোভাব ছিল। তাই কাজটি করে আমরা সবাই তৃপ্ত। দর্শকরা বিনোদনের পাশাপাশি এ নাটক থেকে একটি বার্তাও পাবেন।’’
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, এ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ, শিশুশিল্পী মোহাম্মদসহ আরও অনেকে। ‘ওয়াটার’ নাটকটি আসছে ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে।