রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ির সামনে অবস্থিত হাওরের মাঝখানে ছোট্ট এই পল্লীটিকে ঘিরে হাজার নৌকা-ট্রলারের সারি এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করেছিল শুটিংয়ের সময়। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ হাওরের পাড়ে দাঁড়িয়ে, নৌকা ও ট্রলারের ছাদে বসে ‘ইত্যাদি’র ধারণপর্ব উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানটির জনক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত বলেন, ‘তিন দশক পেরিয়ে চার দশকে পদার্পণ করেছে ইত্যাদি। সাধারণ মানুষের সমর্থন, সহযোগিতা, ভালোবাসার কারণেই ইত্যাদি এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পেরেছে। আমরাও সব সময় বলি ইত্যাদি সব বয়সের, সব শ্রেণি পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান। কারণ একটি শিশুও যেমন দেখে, তেমনি তার দাদুও দেখেন অনুষ্ঠানটি। এতে আমরা সবার কথা বলার চেষ্টা করি। কারণ দেশ গড়ায় সবার অবদান রয়েছে। আর তাই আমরা ইত্যাদিকে নিয়ে যাই গ্রামে-গঞ্জে, সাধারণ মানুষের কাছে। দর্শকরা সময় বের করে আমাদের অনুষ্ঠান দেখতে বসেন। আমরাও তাদের সেই সময়ের মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করি।’
‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। অনুষ্ঠানটি যথারীতি স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।