‘কলকাতায়ও কবিতাটি নিয়ে এমন কাজ হয়নি’

টনি ও প্রিয়া ডায়েসঅন্যরকম একটা কাজ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমি’ কবিতা নিয়ে নির্মিত হলো ভিন্ন রকমের ভিডিও। এটি নির্মাণ করেছেন অভিনেতা টনি ডায়েস। আবৃত্তি ও চিত্রগ্রহণ তারই।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা আমার খুব প্রিয় একটি কবিতা। সম্ভবত বাংলাদেশ এমনকি কলকাতায়ও কবিতাটি নিয়ে এমন কাজ হয়নি আগে।’
ভিডিওটির শুটিং হয়েছে নিউ ইয়র্কের মনোরম লং আইল্যান্ডে। সেখানেই টনির বাসা। এর চারদিকে আটলান্টিক সাগর। জায়গাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে ভিডিওতে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টনির ভাষায়, ‘যখন যেখানে যাই সবসময় সুন্দর ফ্রেম মাথায় কাজ করে। নিউ ইয়র্কে শুটিং করা বেশ আরামের। কারণ সব জায়গায় অনুমতির প্রয়োজন হয় না।’
‘আমি’র ভিডিওতে মডেল হয়েছেন টনির স্ত্রী নৃত্যশিল্পী প্রিয়া ডায়েস। সংগীতায়োজন করেছেন মারভিন রুপম অধিকারী। ইউটিউবে ডায়াসইবিজ (DiasEbiz) চ্যানেলে গত ৩ অক্টোবর এটি উন্মুক্ত হয়।
কীভাবে ভাবনাটা মাথায় এলো? টনির উত্তর, ‘সবসময় ভাবি নিজে যদি কিছু করি ভালো কিছু যেন হয়। এজন্য কয়েক বছর ধরে নিজে তৈরি হচ্ছিলাম। মাইক্রোফোন আর ক্যামেরা আমার ভালো বন্ধু। তাই এগুলোর সমন্বয়ে আমার কণ্ঠ মিলিয়ে কিছু তৈরির বিষয়টি মাথায় কাজ করতো। সেই ভাবনা থেকেই এসেছে ভিডিওটি।’
পরিচালনার অভিজ্ঞতা টনি ডায়েসের কাছে নতুন নয়। ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ঈদের সময় বিশেষ নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। প্রথম কাজ ছিল ফারিয়া হোসেনের লেখা টেলিছবি ‘দূর কুয়াশায় তুমি’। এছাড়া তার পরিচালনায় শাহরুখ শহীদের ‘হঠাৎ দেখা’, ফারিয়া হোসেনের ‘পুরো রাত আর অর্ধেক চাঁদ’ উল্লেখযোগ্য।
ইউটিউবে কী এমন কাজ নিয়মিত করার ইচ্ছে আছে? উত্তরে টনি বলেন, ‘এখন তো সব অনলাইনভিত্তিক কাজ হচ্ছে। আমেরিকায় বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বিভিন্ন অ্যাপে টেলিছবি ও সিরিজ বের হচ্ছে। সেদিক থেকে ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে এগিয়ে। এখন থেকে নিয়মিতভাবেই ইউটিউবে আমার চ্যানেল ডায়াসইবিজে (DiasEbiz) নতুন নতুন কাজ প্রকাশ করবো। তবে দর্শকদের জন্য মানসম্পন্ন কাজ করতে চাই, যা আমার  নিজের কাছেও ভালো লাগবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাস জীবনে অবসর সময়ে বিভিন্ন কবিতা ও কথোপকথন বাসার স্টুডিওতে রেকর্ড করছেন টনি ডায়েস। পাশাপাশি বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বললেন, ‘এখন ব্যপারটা এমন যে, দেশের দর্শকের জন্য যেকোনও জায়গা থেকেই কাজ করা যায়। হাতের ফোন এখন দেখার একটা মাধ্যম হয়ে গেছে।’
আমি: