এফডিসিতে মৌসুমীর মিছিল, মিশা-জায়েদের সংবাদ সম্মেলন

মৌসুমী, জায়েদ ও মিশাআগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে বিএফডিসি এখন উত্তপ্ত। গতকাল (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী মৌসুমী।
এটির প্রায় কাছাকাছি সময়ে পাল্টা মিছিল করেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল। তারপর জরুরি ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সেখানে মৌসুমীর বিরুদ্ধে এফডিসিতে বহিরাগত প্রবেশ করতে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যার পরপরই এফডিসিতে আসেন এবারের শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সেখানে তিনি পৌঁছালে সঙ্গে সঙ্গে তার সমর্থক শিল্পীরা তাকে নিয়ে মিছিল ও স্লোগান দেন।

একই সময় মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলের সমর্থকরা এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল শুরু করেন। দুটি মিছিল থেকেই বেশ উত্তেজনাকর স্লোগান দেয় দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকেরা।

এরপর বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে বহিরাগত আনার অভিযোগ করেন জায়েদ ও মিশা।

সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খান বলেন, ‘বিএফডিসি একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমরা জেনেছি, কিছুদিন আগে (১৪ অক্টোবর) স্বতন্ত্র প্রার্থী তেজগাঁও এলাকার রাজনৈতিক নেত্রী ও তার কর্মীদের এফডিসিতে ঢুকতে দিয়েছেন। এটা তো রাজনৈতিক শোডাউনের জায়গা নয়।’

মিশা সওদাগর বলেন, ‘সেদিন মৌসুমীর সঙ্গে ড্যানিরাজের যা হয়েছে তার জন্য ড্যানি ক্ষমা চেয়েছেন। অন্যদিকে, মৌসুমীর কাছে যারা এসেছিলেন তারা বহিরাগত।’

সভাপতি প্রার্থী মৌসুমী বলেন, ‘আমরা ভোট চাইছি। সেজন্য আমার সমর্থক শিল্পীরা আমাকে নিয়ে ভোট চেয়ে মিছিল করেছেন। আমার সঙ্গে যারা আছেন তারা কেউ বহিরাগত নন। তারা অনেক বছর ধরে শিল্পী সমিতির সদস্য। তারা পূর্ণাঙ্গ সদস্য ছিলেন, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সহযোগী সদস্য করা হয়েছে। এখন তারা আমার পক্ষে ভোট চাইছেন। আর সেদিন আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে কিছু ভক্ত এসেছিল। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখানে মুখ্য নয়।’

গত ১৪ অক্টোবর তেজগাঁও এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেত্রী ও তার সমর্থকরা বিএফডিসিতে এসে মৌসুমীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন খল অভিনেতা ড্যানিরাজ মৌসুমীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে অতিথিদের বের করে দিতে যান। এরপর এটা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সহযোগী সদস্য বা চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরা এফডিসিতে আসতে পারবেন। তবে শুধু নির্বাচনের দিন এটি হবে না। তখন শিল্পী সমিতির সদস্য বা ভোটার ছাড়া অন্য কোনও অভিনয়শিল্পী প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটের দিনে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এটা করা হবে।’

তিনি জানান, নিরাপত্তার খাতিরে রাত ১০টার মধ্যে এফডিসিতে নির্বাচনি প্রচারণা শেষ করতে হবে।