দেশের অনেক নারীর মতো দীপ্তি বিয়ের পর নিজের অন্য ইচ্ছেগুলোর সঙ্গে গানের প্রতি ভালোবাসাকে বেঁধে ফেলেন সংসারের আঁচলে। উৎসাহ আর সমর্থন পেয়ে তিনি হয়ে উঠলেন সুরের পাখি। তাকে সেই মঞ্চটা তৈরি করে দিলো ‘সিলন সুপার সিঙ্গার’।
সেরা পাঁচজনের মধ্যে চারজনই পেয়েছেন পুরস্কার। প্রথম রানারআপ সুমনা রহমানের হাতে এসেছে ১০ লাখ টাকা। যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ ফাহমিদা নাসরিন প্রীতি ও শায়নি শিঞ্জন পেয়েছেন ৬ লাখ টাকা। প্রিয়াঙ্কা দাশসহ সেরা ১১তে জায়গা করে নেওয়া বাকি সাতজনকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে পাঁচ প্রতিযোগীই গেয়েছেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিংবদন্তি রুনা লায়লা। তিনি দুটি গান পরিবেশনের পাশাপাশি সেরা পাঁচের গান শোনার পর নিজের মুগ্ধতার কথা বলেন।
এ আয়োজনে ছিল অভিনেত্রী পূর্ণিমার নাচ। প্রতিযোগিতার তিন মূল বিচারক ফাহমিদা নবী, পার্থ বড়ুয়া ও তারিন সংগীত পরিবেশন করেন। ‘সিলন সুপার সিঙ্গার’-এ অংশ নেওয়া সফল কর্মজীবী নারীদের মধ্যে চারজন গৃহিণীর গানও ছিল। তারা হলেন পুলিশ কর্মকর্তা ইথি, চিকিৎসক দৃষ্টি, শিক্ষিকা শিলা ও সমাজকল্যাণ কর্মী মিতু। দাম্পত্য জীবনের নানান মজার দিক নিয়ে তিনটি নাটিকা দেখানো হয় অনুষ্ঠানে।
আবুল খায়ের গ্রুপের ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং পরিচালক নওশাদ করিম চৌধুরী বলেন, ‘এই শিল্পীরা প্রমাণ করেছেন, একটু উৎসাহ পেলে নিজের হারিয়ে ফেলা শিল্পীসত্তাকে কী দারুণভাবেই না পুনরাবিষ্কার করতে জানেন। আমাদের গৃহিণীদের কত বাধা পেরোতে হয় প্রতিটি মুহূর্তে, তাও আমরা নতুন করে জেনেছি। সারাদেশ ঘুরে বিচারকেরা মোট ৮১ জন গৃহিণীকে ইয়েস কার্ড দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন শাশুড়ির আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত মূল পর্বে অংশ নিতে পারেননি। এটা যেমন সত্যি, আবার এমনও দেখেছি, আটমাসের সন্তানসম্ভবা প্রীতি পরিবারের সমর্থন নিয়ে কীভাবে এগিয়ে এসেছেন। তিনি সেরা পাঁচেও চলে আসতে পেরেছেন।’
এনটিভির অনুষ্ঠান প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ বলেন, ‘এই আয়োজন থেকে হারিয়ে যেতে বসা এই গানের পাখিরা সংগীতচর্চা ধরে রাখার উৎসাহ ফিরে পেয়েছেন; এটাই এই আয়োজনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আশা করি, আবুল খায়ের গ্রুপ ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন অব্যাহত রাখবে।’