মূলত তার হবু বর ওমারের পরিবার থাকে সেখানেই। এরপর হবু বর ও বিয়ে নিয়ে সবিস্তার করলেন এই তারকা। তার সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘ওমারের সঙ্গে আমার পরিচয় বছর দেড়েক হলো। আমার কাজিনের স্বামীর বন্ধুর ছোট ভাই সে। এরপর আস্তে আস্তে আমাদের পরিচয়টা গভীর হয়। চলতি বছরের ১৯ জুলাই হয় আমাদের বাগদান।’
তাহলে বিয়ের পর ইউরোপেই পাড়ি জমাচ্ছেন—এমন প্রশ্নে এই শিল্পী বলেন, ‘সেটা নিশ্চিত। আর এ কারণেই চলতি বছর সব কাজ গুছিয়ে নেবো। আগামী বছরে বিয়ের পরিকল্পনা আমাদের। এরপর দেশে ফিরলে দু’-একটি কাজ করতে পারি। তবে সে সম্ভাবনা কম।’
এদিকে বিয়ের খবর প্রকাশের পর একটি গণমাধ্যমে পিয়ার মন্তব্য আসে, ‘দেশে ভালো ছেলে নেই!’
আসলেই কি দেশে যোগ্য পাত্র নেই- এ বিষয়ে এই তারকার ভাষ্য, ‘আমি কিন্তু এটা বলিনি। আমি বলেছি আমার ভাগ্যে ভালো ছেলে জোটেনি। তবে একটি অনলাইনে শিরোনামটা অন্যভাবে এসেছে। সবাই বিভ্রান্ত হয়েছেন। এটা ঠিক নয়। আমার জীবনে ভালো ছেলে আসেনি। কিন্তু ভালো ছেলে নেই এটা কেমন কথা? অবশ্যই দেশে ভালো ছেলে আছে।’
এমন উত্তর আসার পর যে প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবে চলে আসে তা হলো, ওমারকে কেন এতে ভালো লাগলো বা আপনার কাছে যোগ্য মানুষ মনে হলো? এ বিষয়ে পিয়া যুক্তি খণ্ডালেন এভাবে, ‘আসলে আমার একটি ছোট মেয়ে আছে। ওমার তাকে খুব কেয়ার করে। তার এই গুণটি আমার ভালো লেগেছে। কারণ, আমার মেয়েই তো আমার কাছে সব। আমার বাচ্চাকে আমার থেকে যে প্রায়োরিটি দেবে, বা আমাকে সম্মান করবে তাকে আমি বিয়ে করবো। তাদের ফ্যামিলির সদস্যরাও আমার বাচ্চাকে বেশ পছন্দ করেন।’
ওমার ইউরোপের একটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করেন। তিনি মুসলিম। আগামী বছরে পিয়া ও ওমারের পরিবারের সদস্যরা বিয়ের আয়োজন করবেন বলে জানান এই তারকা।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। ২০১৬ সালে ‘রুদ্র দ্য গ্যাংস্টার’ ছবির সুবাদে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর তিনি ‘মনের রাজা’, ‘এত প্রেম এত মায়া’সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে নাটক, টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন পিয়া বিপাশা।