রবীন্দ্রনাথের ইউরোপ ভ্রমণের গল্প শোনালো উত্তরায়ণ

3সেদিন সন্ধ্যায় তার সৃষ্টির মতোই জীবন্ত হয়ে উঠেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মঞ্চের পেছনের দেয়ালে ভেসে উঠছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের ছবি ও দর্শনীয় স্থাপনাগুলো। আর সামনের মঞ্চে বসে তার ইউরোপ ভ্রমণের গান ও গল্পের পসরা সাজিয়েছেন উত্তরায়ণ-এর শিল্পীরা।  
সংগীত সংগঠন ‘উত্তরায়ণ’এর নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের প্রয়াসে ‘ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক এই গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয় কামাল মিলিনায়তনে।
কবির ইউরোপ ভ্রমণের সময় রচিত ১৯টি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এই আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘প্রথম যুগের উদয় দিগঙ্গনে’ গানটি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে আয়োজক সংগঠনের শিল্পীরা। এরপর রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী লিলি ইসলামের নেতৃত্বে একে একে ১৯টি গান পরিবেশিত হয় একক, দ্বৈত ও সমবেত কণ্ঠে।
গানে গানে তব বন্ধন, সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি, আমার মুক্তি আলোয়, মধুর তোমার শেষ, তোমারি নাম বলব, কার চোখের চাওয়ার, আকাশে তোর তেমনি আছে ছুটি, কোথায় ফিরিস পরম শেষের, অরূপ তোমার বাণী, আপনি আমার কোনখানে, দিনের বেলায় বাঁশী, যা পেয়েছি প্রথম দিনে, তুমি ঊষার সোনার বিন্দু, প্রাণে খুশির তুফান, তার হাতে ছিল, ক্ষমা করো মোরে সখী, সঙ্কোচের বিহ্বলতা এবং নাই নাই ভয়- গানগুলোর কথা ও সুরে সমগ্র মিলনায়তনে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।
2প্রতিটি পরিবেশনার আগে সে গানটির রচনার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন অনুষ্ঠানের পরিচালক লিলি ইসলাম, ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও ডালিয়া আহমেদ।
লিলি ইসলামের পরিকল্পনা, গবেষণা ও পরিচালনায় আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইশরাত জাহান বিথি, নাহিদ পারভীন, রতন মজুমদার, টিংকু কুমার শীল, মৌমিতা পাল, সাইফুল ইসলাম, অভিজিৎ দে, নুসরাত জাহান সাথী, শিমু দেসহ উত্তরায়ণ-এর ২৫ জন সদস্য।
উত্তরায়ণ-এর আয়োজনে ‘ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ’ অনুষ্ঠানটিতে সহযোগিতা করে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স।